শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২০ জুলাই, ২০১৮, ০৬:২২ সকাল
আপডেট : ২০ জুলাই, ২০১৮, ০৬:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘মানুষের ভালোবাসার কাছে হেরে গিয়েই গান গাইতে হয়’

ইমতিয়াজ মেহেদী হাসান : সূর্য তখনো পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়েনি। বাড়েনি পাখিদের নীড়ে ফেরার ব্যস্ততাও। ধূসর নাগরিক কোলাহল মাড়িয়ে তবুও রাজধানীর হাতিরঝিলের প্রিয়াংকা শুটিং হাউজে চলছিলো নির্মাতা-কলাকুশলীদের ছোটাছুটি। গেটের দারোয়ানকে জিজ্ঞাসা করতেই আঙুল উঁচিয়ে তিনি দেখালেন, মেকাপ রুমটা সামনে গিয়ে বামহাতে। সেখানেই আছেন শিল্পীরা। খুব বেশি নয়, গুনে গুনে ১৫/১৬ পা এগুতেই পাওয়া গেলো কাঙ্খিত ঘরটি। পাওয়া গেলো অনেককেই। তবে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই প্রথমে যার মুখোমুখি হওয়া গেলো, তিনি আর কেউ নন। আমাদের সকলের প্রিয় অভিনেতা ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী সেই সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ ফজলুর রহমান বাবুকে।

লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের ঘরোয়া পরিবেশেই শুরু হলো কথোপকথন। প্রথমে উঠে এলো সদ্য অনুষ্ঠিত ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ইস্যু। চোখে-মুখে উচ্ছ্বাস চাপা রেখে অনেকটা আক্ষেপ নিয়েই যেন এই দাপুটে অভিনেতা বললেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আমাদের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। তাই এটা নিয়ে বাড়তি একটু প্রত্যাশা সবার থাকে। আমারও ছিলো। কারণ, ২০১৬ সালের সবচেয়ে আলোচিত ছবি ‘অজ্ঞাতনামা’। এই বছরে আরো একটি ব্যবসাসফল ছবি ছিলো ‘আয়নাবাজি’। কিন্তু সবদিক বিবেচনায় ‘অজ্ঞাতনামা’ নিয়েই সবার আগ্রহ ছিলো বেশী। আর এই ছবিতেই আমি অন্যতম একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। দর্শক, প্রযোজক কিংবা এই ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকেই ভেবেছিলো হয়তো ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা’ হিসেবে এই ছবির জন্য আমি পুরস্কারটি পাবো। কিন্তু এই ক্যাটাগরিতে না পেয়ে দুর্ভাগ্যবশত অন্য ক্যাটাগরিতে পেলাম।

দেশীয় চলচ্চিত্র নিয়ে ‘আশা’ প্রকাশ করে এই অভিনেতা বলেন, মাঝে একটা ‘অস্থির’ সময় গেছে ঢাকাই চলচ্চিত্রে। সে অবস্থা এখন আর নেই। পরিবর্তন হচ্ছে। ভালো ও সুস্থধারার ছবি তৈরি হচ্ছে। মানুষ আবারো হলমুখী হচ্ছে। আমার কথা সত্য কিনা তা বিগত ক’বছরের ছবির পরিসংখ্যান ও রিভিউ দেখে মিলিয়ে নিতে পারেন। তবে একটা জিনিস এখনো ‘দুর্বল’-ই আছে। সেটি হলো দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোর অবস্থা। দিনকেদিন এই অবস্থা আরো খারাপ হচ্ছে। কমতে শুরু করেছে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যাও। শিল্প ও দর্শকদের কথা মাথায় রেখে আমাদের এই বিষয়টায় মনোযোগী হওয়া জরুরি।

‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ সিনেমার জন্য ২০১৬ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (পার্শ্বচরিত্র বিভাগে) হয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু। তুখোড় অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি গানেও কণ্ঠ দেন। এবং সেটি শুধুমাত্র মানুষের ভালোবাসার কাছে হেরে গিয়েই। তিনি বলেন, অভিনয় আমার পেশা। গান নয়। তবে গান গাওয়া হয়, মানুষ আমার কণ্ঠে শুনতে ভালোবাসেন বলে। এটা পরম পাওয়া। সবার জন্য ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়