নূর মাজিদ: বাণিজ্য যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যাবার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প বাজারে অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি বৃদ্ধি করবার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় বাণিজ্য বিশেষজ্ঞগণ। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভারত তার ১১ শতাংশ অ্যালুমিনিয়াম শিট রপ্তানি করে থেকে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় ধাতু শিল্পকে সুরক্ষা দিতে আমদানিকৃত অ্যালুমিনিয়াম এবং ষ্টীলের ওপর বাড়তি শুল্কারোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। যে সমস্ত দেশ থেকে আমদানিকৃত ধাতব পণ্যে এই শুল্কারোপ করা হয়, তাদের মধ্যে ভারত এবং জাপানের মতো মার্কিন মিত্র দেশও রয়েছে। ভারতীয় অ্যালুমিনিয়াম ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে স্থানীয় উৎপাদকদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে ভারতের অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি। এমন আশঙ্কা থেকেই সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির বাহিরে বিকল্প বাজারে এই পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের বাহিরে ইউরোপিয় ইউনিয়নের বাজার বিকল্প রপ্তানি উৎস হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই তারা অভিমত পোষণ করেছেন। কারণ, বিশ্বব্যাপী অ্যালুমিনিয়ামের উৎপাদনের সঙ্গে সরবরাহ চাহিদার তীব্র ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে, বর্তমানে বিশ্বের অ্যালুমিনিয়ামের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারি ব্রাজিলের অ্যালুনর্তে রিফাইনারি উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র অর্ধেক পণ্যই উৎপাদন সরবরাহ করতে পারছে। বর্তমানে এই রিফাইনারিটি বিভিন্ন আইনি জটিলতায় ভুগছে। পূর্ণ সক্ষমতায় এই রিফাইনারি বাৎসরিক ৬.৪ মিলিয়ন টন অ্যালুমিনিয়াম রপ্তানি করত।
তবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন ছাড়াও দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতীয় অ্যালুমিনিয়াম রপ্তনির বাজার সম্প্রসারণের বিশাল সুযোগ রয়েছে বলেও তারা জানিয়েছেন। এই সমস্ত দেশে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়নের কারণে অবকাঠামো নির্মাণ খাতে অ্যালুমিনিয়ামের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে, ২০১৮ সালে মালোয়েশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ আমদানিকারকে পরিণত হয়েছে। দেশদুটি ভারতের উৎপাদিত অ্যালুমিনিয়ামের যথাক্রমে ৩১ এবং ৩০ শতাংশ আমদানি করেছে। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
আপনার মতামত লিখুন :