এস এম নূর মোহাম্মদ : আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে দেওয়া আগাম জামিন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার জামিন সংক্রান্ত রুলের রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ ছিল। তবে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ড. কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ রায় না দিয়ে মামলা ছাড়া জামিন কিভাবে হয় এমন নজীর দেখতে চান। একইসঙ্গে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য আগামী ২৩ জুলাই পুনরায় দিন ধার্য করেন।
বৃহস্পতিবার আদালত সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের কাছে জানতে চান, মামলা ছাড়া আগাম জামিন হয়েছে, এমন নজির আছে কি না? আদালতের প্রশ্নে কোনও উত্তর দেননি ওই আইনজীবী। এসময় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, তার (সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদীন) বিরুদ্ধে রেগুলার কোনো মামলা নেই। মামলা না থাকলে জামিন কীভাবে হয়?
ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, মামলা না থাকলে আগাম জামিনে আদালতের কোনও নজির আছে কিনা, তা খুঁজে দেখার জন্য সময় চাই। পরে আদালত রায়ের জন্য নতুন করে সময় ঠিক করে দেন।
এর আগে গত ১০ জুলাই মামলাটিতে উভয়পক্ষের রুল শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে সাবেক এই বিচারপতিকে নোটিশ দেয় দুদক। পরে দুদকের দেওয়া নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি ওই বছরের ২৫ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন। রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে যায়। এরপর ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে আবারও নোটিশ দেয় দুদক। পরে ওই বছরের ৩ নভেম্বর তিনি এ বিষয়ে দুদকে তথ্য জমা দেন। দীর্ঘদিন পরে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তার কাছে তার সম্পদের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চায় দুদক। এরপর তিনি ব্যাখ্যা দেন।
এদিকে গত বছর একটি গণমাধ্যমে বিচারপতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে তিনি গ্রেফতার ও হয়রানির আশঙ্কায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। একইসঙ্গে কেন তাকে স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন। তবে ওই রুলের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের জারি করা রুল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
আপনার মতামত লিখুন :