রবিন আকরাম : কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও আদালত প্রসঙ্গ নিয়ে বিশিষ্টজনেরা ব্যাপক লেখালেখি ও প্রমাণ উপস্থাপন করছেন। তারা মনে করেন, কোটার মতো একটি বিষয়, যা টেবিলে বসে আলোচনা করে খুব সহজে সমাধান করা সম্ভব ছিল। অার এখন যোগ হলো আদালতের প্রসঙ্গ।
বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, আদালতের যে রায়ের কথা বলা হচ্ছে, সেই রিটের রায় আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। আর পর্যবেক্ষণে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘নাতি- পুতি’দের জন্যে কোটার কথা বলা হয়নি। শুধু মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্যে কোটার কথা বলা হয়েছে। এখন কোটার সুযোগ পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার ‘নাতি-পুতি’রা।
এদিকে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারের নির্দেশনা চেয়ে দায়েরকৃত রিট আবেদন গত ৬ মার্চ খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মোঃ আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই খারিজের আদেশ দেন। আদালত বলেন, কোটা পদ্ধতি সংস্কার হবে কি হবে না তা সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়, আদালতের নয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি কোটা পদ্ধতি সংস্কারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনিসুর রহমান মীর ও আব্দুল ওদুদসহ তিনজন। আবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্ব্বর এক নির্বাহী আদেশে সরকারি-বেসরকারি, প্রতিরক্ষা, আধা-সরকারি এবং জাতীয়করণকৃত প্রতিষ্ঠানে জেলা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে ত্রিশ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা এবং দশ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের জন্য কোটা প্রবর্তন করা হয়। কিন্তু বর্তমানে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৩০ লাখ। এর মধ্যে ৪৭ শতাংশ স্নাতক ডিগ্রিধারী। দেশের প্রশাসনিক কাঠামো, জনসংখ্যা ও শিক্ষিতের হার বিবেচনায় বর্তমান কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা প্রয়োজন। রিটের পক্ষে আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার শুনানি করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :