ডেস্ক রিপোটঃ চাকরিতে ইসলাম কোটা পদ্ধতির সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন রাজধানী মিরপুর আকবর কমপ্লেক্স মাদরাসার পরিচালক ও দেশের অন্যতম প্রধান মুফতী দিলাওয়ার হোসাইন। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি এই মত প্রকাশ করেন।
‘স্থান কাল পাত্র ভেদে এই সিদ্ধান্ত ভিন্নও হতে পারে। তবে ইসলাম যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগের সমর্থন করে, প্রয়োজনহীন কোটা পদ্ধতির বিরোধিতা করে।’মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন বলেন।
তাহলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বা দেশপ্রেমিকদের রাষ্ট্র কীভাবে মূল্যায়ন করবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে আসার জন্য যোগ্যতার প্রশিক্ষণ দেয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। দেশপ্রেমিকদেরও অন্যভাবে মূল্যায়ন করা যেতে পারে। তবে মেধা ও যোগ্যতাকে অবহেলা করে নয়।
এর সাথে সংযোজন করে মত ব্যক্ত করেছেন রাজধানী জামিয়া শারঈয়া মালিবাগ মাদরাসার সহযোগী মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুম । তিনি বলেন, চাকরিতে কোটা পদ্ধতির নিয়োগকে যেমন শতভাগ ইতিবাচকভাবে দেখা যায় না, তেমনি শতভাগ নেতিবাচকভাবেও দেখা ঠিক হবে না। এ দুটির মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। কোটার মাধ্যমে যেন মেধাবীদের অবহেলা না করা হয়, এটা বিবেচনা করা সরকারের দায়িত্ব। তেমনি দেশপ্রেমিকদের মূল্যায়ন হিসেবে দেশপ্রেমে উৎসাহিত করার জন্যও সরকার কোটা পদ্ধতিতে কাউকে কাউকে নিয়োগ দিতে পারে। মোটকথা ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
মুফতি মাসুম আরও বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে সরকার তাদের মেধার প্রতিযোগিতায় নামিয়ে আনতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির নিয়োগে রাষ্ট্রের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশী হবে। ভিন্ন কোন সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়েও সরকার প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে । fateh
আপনার মতামত লিখুন :