শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত

প্রকাশিত : ১৯ জুলাই, ২০১৮, ০৬:০৮ সকাল
আপডেট : ১৯ জুলাই, ২০১৮, ০৬:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হজ কবুল হওয়ার জন্য ঝগড়া না করা শর্ত

ড. মুফতি মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী : ১৪ জুলাই বাংলাদেশ থেকে শুরু হয়েছে হজ ফ্লাইট। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীরাও হজপালনের নিমিত্তে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে পৌঁছেছেন। মক্কা, স্বপ্নের নগরী। সুতরাং মক্কায় নামার পর খুব আদবের সঙ্গে চলুন। এটি ইসলামের শহর, নিরাপদ শহর, বালাদে আমিন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে কাটিয়েছেন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ৫৩টি বছর।

আপনি যেখানে পা রাখছেন হতে পারে এখানেই বা আশপাশে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলাফেরা করেছেন। মক্কায় আপনাকে হোটেলে বা বাড়িতে থাকতে দেওয়া হবে। বর্তমানে প্রত্যেকের জন্য আলাদা সিটের ব্যবস্থা থাকে। তাই সিট নিয়ে টেনশন করার কিছুই নেই। অমুকের সিট ভালো হয়েছে আমারটা ভালো হলো না কেন? এ নিয়ে শয়তান মনে ঝগড়া তৈরি করাবে। মনে রাখবেন, হজের সফরে ঝগড়া করা যাবে না। হজ কবুল হওয়ার জন্য ঝগড়া না করা শর্ত।

হোটেলে সিট বুঝে নিয়ে দীর্ঘ ক্লান্তি দূর করার জন্য একটু বিশ্রাম নিতে পারেন। কাফেলার পক্ষ থেকে যখন উমরার তাওয়াফ করার কথা বলা হবে তখনই প্রস্তুত থাকবেন। প্রথম হজ-উমরা হলে অভিজ্ঞ আলেম বা কাফেলা প্রধানের নেতৃত্বে তাওয়াফ করতে যাওয়া ভালো।

উমরা আদায়
কিরান হজ হোক বা তামাত্তু হজ আদায় করার ইচ্ছা থাকুক প্রথমেই মক্কা পৌঁছে উমরা আদায় করতে হয়। উমরার ক্ষেত্রে চারটি জিনিস পালনীয়। ইহরাম বাঁধা, তাওয়াফ করা, সায়ি করা এবং মাথা মুণ্ডানো বা হলক করা। এ কয়েকটি কাজ শেষ হলেই উমরা পালন হয়ে যায়। উমরা শেষ হলে তামাত্তু হজ পালনকারীরা হালাল হয়ে যায়। অর্থাৎ ইহরাম অবস্থায় যা নিষিদ্ধ ছিল তা আর হারাম বা নিষিদ্ধ থাকবে না। তাই স্বাভাবিক জীবন শুরু হয়। সাধারণ জামা-কাপড় পরে নামাজ ও নফল তাওয়াফ ছাড়া হজের পূর্বে আর কোনো বিশেষ কাজ থাকে না।

কাবার দরজায়
কাবাঘর তাওয়াফ করার পূর্বে গোসল করে নেওয়া ভালো। কাবাঘরের চারপাশের বিল্ডিংগুলোই মাসজিদে হারাম। এ মসজিদে হারামে প্রবেশের সময় বাবুস সালাম দিয়ে প্রবেশ করা ভালো। এছাড়া অন্যান্য গেট দিয়েও প্রবেশ করা যায়। বাবুস সালাম বর্তমানে ১৭ নম্বর গেট যা আবু কুবাইস পাহাড়ের কাছে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাড়ীর কাছে। কাবা ঘর দেখার সময় দোয়া করবেন। এ সময় দোয়া কবুল হয়।

মসজিদে হারামে প্রবেশের সময় দুই রাকাত দুখুলুল মসজিদ নামাজ পড়ে নেওয়া যায়। যদি জামাতে নামাজ হতে থাকে তাহলে আগে জামাতে নামাজ আদায় করে নিতে হবে।

তাওয়াফ
আল্লাহর ঘর কাবার চারদিকে নির্ধারিত নিয়মে সাত বার চক্কর দেওয়া বা ঘুরাকে তাওয়াফ বলে। উমরা আদায়ের ক্ষেত্রে তাওয়াফ ফরজ। যে শুধু হজ আদায় করে অর্থাৎ ইফরাদ হজ করে তার জন্যও আগমনী তাওয়াফ করা সুন্নত হিসেবে গণ্য হবে।

হাজরে আসওয়াদ থেকে তাওয়াফ শুরু করতে হয়। তাওয়াফের জন্য মনে মনে নিয়ত করলেই হবে। হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথর চুমু দিয়ে তাওয়াফ শুরু করতে হয়। ভিড়ের কারণে চুমু দেওয়া সম্ভব না হলে হাজরে আসওয়াদের সোজা সবুজ বাতি বা সবুজ দাগে দাঁড়িয়ে কাবার দিকে দুই হাত উঁচু করে তারপর দুই হাতে চুমু দিতে হয়। তখন নিজের মতো করে মনে মনে দোয়া করে নেবেন।

হাজরে আসওয়াদ চুমু দিয়ে বা হাতে ইশারা করে তাওয়াফ শুরু করতে হবে। ৭ বার ঘুরার পর হাজরে আসওয়াদে এসেই তাওয়াফ শেষ হবে। তাওয়াফ করার সময় কাবা ঘরের সঙ্গে সংযুক্ত হাতিমে কাবাকেও তাওয়াফের অন্তর্ভুক্ত করে নিতে হবে। হাজরে আসওয়াদের কোণার পর হাতিমের কোণা পড়বে। তারপর পড়বে রুকনে ইয়ামানির দিক। প্রতি চক্করে এ রুকনে ইয়ামানি দুই হাতে বা শুধু ডান হাতে ছুঁয়ে দেওয়া সুন্নত। বেশি ভিড় হলে তা প্রতিবারে ছোঁয়ার চেষ্টা না করা। তা না ছুঁয়ে দিলেও তাওয়াফ আদায় হয়ে যাবে।

রুকনে ইয়ামানি ও হাজরে আসওয়াদের মাঝামাঝি স্থানে ‘রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান নার’ এ দোয়া করেছেন হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। -আবু দাউদ

ইবনে মাজায় বর্ণিত হাদিসে আছে, হজরত আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রুকনে ইয়ামানিতে সত্তর হাজার ফেরেশতা নিয়োজিত। যে ব্যক্তি রুকনে ইয়ামানিতে পৌঁছে এ দোয়া করে- আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরা, রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনইয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান নার’ তখন সকল ফেরেশতা আমিন বলে। -ইবনে মাজাহ

হাজরে আসওয়াদ থেকে চক্কর শুরু করে আবার হাজরে আসওয়াদে পৌঁছালে এক চক্কর তাওয়াফ হলো। এভাবে সাত চক্কর তাওয়াফ করলে একটি পরিপূর্ণ তাওয়াফ হয়।

প্রতি তাওয়াফে আলাদা কোনো দোয়া নেই। তাওয়াফ করার সময় এমন কোনো দোয়া বর্ণিত নেই যা পড়া ফরজ বা ওয়াজিব। তাওয়াফের সময় কোনো দোয়া না পড়লেও তাওয়াফ হয়ে যায়। তাওয়াফের সময় কোনো দোয়া করা নিষেধ নেই। কোনো বই দেখে বা শুনে দোয়া পড়লে তা জায়েজ। বিভিন্ন গ্রন্থে প্রতি চক্করে আলাদা আলাদা দোয়া লেখা আছে। এভাবে প্রতি চক্করের জন্য আলাদা আলাদা দোয়া পড়ার রেওয়াজ না করাই উচিত। এতে করে তাওয়াফের একাগ্রতা নষ্ট হয়।

তাওয়াফের সময় আল্লাহর ঘরকে কেন্দ্র করে চক্কর দিচ্ছি এ খেয়াল রাখবেন। মনে মনে আল্লাহর কাছে যা চাওয়ার চাইতে পারবেন। তাওয়াফের সময় কাবার দিকে বুক ও পিঠ করা অনুচিত।

যেসব তাওয়াফের পর সায়ি করতে হয় সে সব তাওয়াফের প্রথম ৩ চক্করে রামল করতে হয়। আর পুরো ৭ চক্করে ইজতেবা করতে হয়।

রমল হলো- হেলেদুলে বীরের মতো চলা। ইজতেবা হলো- ইহরামের চাদরকে ডান বগলের নীচ দিয়ে নিয়ে বাম কাঁধের ওপর ফেলে রাখা।

তাওয়াফ শেষে দুই রাকাত নামাজ পড়া সুন্নত। তাওয়াফের নামাজ পড়ার জন্য কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করার জন্য। হজের মৌসুমে মাকামে ইবরাহিমে তাওয়াফ শেষের নামাজ পড়া অনেক কঠিন। তারপরও কিছু বান্দা কষ্ট স্বীকার করে- এখানেই নামাজ পড়ে থাকে। তবে মাকামে ইবরাহিমের সোজা পিছনে মাতাফের শেষপ্রান্তে অধিকাংশ লোক নামাজ আদায় করে থাকেন। এতে নামাজে মনোযোগ আনা সহজ হয়। তাওয়াফের নামাজ শেষে দোয়া করা জায়েজ। এ সময়ও দোয়া কবুল হয়।

জমজমের পানি
তাওয়াফের ক্লান্তি দূর করার জন্য অসাধারণ পানীয় হলো- জমজমের পানি। মসজিদে হারামের অসংখ্য স্থানে জমজমের পানি রাখা আছে। যারা ঠাণ্ডা পানি পান করতে চান তারা কোল্ড বা বারিদ ড্রামের পানি পান করতে পারেন। ঠাণ্ডা ছাড়া নরমাল পানিও আছে। ইচ্ছা করলে দু’টো মিলিয়েও পান করতে পারেন।

জমজমের পানি পান করলে ক্ষুধা দূর হয়। এতে খাদ্যগুণও আছে। জমজমের পানিতে রোগমুক্তিও আছে। এ বরকতি পানি হজের সফরে নিয়মিত পান করতে পারেন।

সায়ি
তাওয়াফ শেষ করার পর ফরজ তাওয়াফ হলে সায়ি করতে হয়। উমরা ও হজের জন্য সায়ি করা ওয়াজিব। সায়ি হলো- সাফা ও মারওয়া নামক দু’পাহাড়ের মাঝে হাঁটা ও দৌঁড়ানো। তাওয়াফ, নামাজ ও পানি পান শেষে এবার সায়ির পালা। সায়ি করার পূর্বে কাবা ঘরের হাজরে আসওয়াদে চুমু দিতে হয়। চুমু দেওয়া সম্ভব না হলে ইশারা করবেন। অন্তত দু’হাত উঁচু করে হাজরে আসওয়াদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাতে চুমু দিবেন। তারপর বলবেন- আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার।

অত:পর হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত অনুসারে বাবুস সাফা দিয়ে সাফা পাহাড়ে উঠবেন। অন্য স্থান দিয়েও সাফা পাহাড়ে উঠলেও চলবে। পাহাড়ে দাঁড়িয়ে কাবাঘর দেখা যায়। সেটি হাজরে আসওয়াদের কোণা। সাফা পাহাড়ে দাঁড়িয়ে কাবার দিকে মুখ করে দু’হাত তুলে হাজরে আসওয়াদকে ইশারা করাকে ইসতেলাম বলে। ইসতেলামের মাধ্যমে শুরু হবে সায়ি। সাফা থেকে মারওয়া পৌঁছালে একবার সায়ি হলো। মারওয়া থেকে সাফা পৌঁছালে দুইবার হলো। এভাবে ৭ বার দৌঁড়ানো শেষ হবে মারওয়া পাহাড়ে পৌঁছানোর পর। দুই পাহাড়ের মাঝে এ সাতবার হাঁটা ও দৌঁড়ানোর মাধ্যমে সম্পন্ন হবে সায়ি।

সায়ি করার সময় অল্প একটু জায়গায় বর্তমানে সবুজ লাইট দেওয়া আছে। এ নীচু জায়গায় দৌঁড়াতে হয়। অন্যান্য জায়গায় হেঁটে চললেই হয়। নারীরা সবুজ বাতির জায়গায় দৌঁড়াবে না বরং স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যাবে। এ সময় নারী পুরুষ সবাই এ দোয়া করবে- রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতাল আয়ায্যুল আকরাম।

সায়ি করার সময় অজু থাকা মুস্তাহাব। কোনো কারণে অজু ছাড়া সায়ি করলে এতে কোনো দম দিতে হবে না। অজু ছাড়াও সায়ি আদায় হয়ে যায়।

সায়ির পর আবার তাওয়াফ করার স্থানের পাশে এসে দুই রাকাত নামাজ পড়া সুন্নত। অন্য জায়গাতেও এ নামাজ পড়া যায়। মারওয়া পাহাড়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ার কোনো বিধান নেই। সেখানে নামাজ পড়া মাকরূহ।

সায়ি করার সময় দোয়া কবুল হয়। এ সময় নির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। যেকোনো দোয়া করা যেতে পারে। হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সময় বলেছিলেন, হে আল্লাহ! তুমি তো বলেছো, আমাকে ডাকো, আমি সাড়া দেবো। (দোয়া করো, আমি কবুল করবো) তুমি তো ওয়াদা খেলাফ করো না। আমি তোমার কাছে চাচ্ছি, তুমি যেমনিভাবে আমাকে ইসলামের পথ দেখিয়েছো তা কখনো ছিনিয়ে নিয়ো না। আমাকে মুসলমান অবস্থায় মৃত্যু দিও। -আহকামে হজ: পৃ. ৫৮

এছাড়া অন্য যেকোনো দোয়া করা যেতে পারে।

সায়ি করা অবস্থায় জামাত শুরু হয়ে গেলে সেখানেই জামাতে দাঁড়িয়ে যাবেন। নামাজ শেষে সেখান থেকেই সায়ি পূর্ণ করবেন।

মাসয়ালা: সায়ি সব সময় তাওয়াফের পরে করতে হয়। তাওয়াফ ছাড়া সায়ি হয় না।

মাসয়ালা: তাওয়াফ পবিত্র অবস্থায় করার পর কোনো নারী সায়ি করার সময় অপবিত্র হয়ে পড়লেও সায়ি শেষ করতে পারবে। অপবিত্র অবস্থায় সায়ি করা জায়েজ হবে।

মাসয়ালা: হুইল চেয়ারে বসে বিনাওজরে সায়ি করা নাজায়েজ। ওজর থাকলে হুইল চেয়ারে করে সায়ি করতে পারবে। সবুজ বাতির জায়গায় চেয়ারের গতি বাড়িয়ে দিতে হবে। তবে ভিড় থাকলে অন্যকে কষ্ট দেওয়া যাবে না।

মাথার চুল কাটা
হজ তিন ধরণের হয়। ১. যারা শুধু হজ করে, তা ইফরাদ হজ। ২. যারা হজ ও উমরা একসঙ্গে করে, কিরান হজ। এ দু’শ্রেণির ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ হজ না করে ইহরাম শেষ করতে পারবে না। অন্যান্য যারা আছেন যেমন শুধু উমরাকারী কিংবা তামাত্তু হজকারী তারা সায়ি করার পর মাথার চুল ন্যাড়া করে ফেলবে কিংবা এক আঙুল পরিমাণ চুল কাটিয়ে নেবে।

নিজে নিজে কাটা যাবে না। যিনি ইহরাম অবস্থায় আছেন তিনিও চুল কাটতে পারবেন না। যিনি ইহরাম শেষ করেছেন তার মাধ্যমে অথবা স্থানীয় কারো মাধ্যমে মাথা মুণ্ডাবেন।

বর্তমানে প্রচুর সেলুন পাওয়া যায়, তাদের দ্বারা তা করাতে পারেন। কাফেলার কেউ ইহরাম শেষ করে থাকলে তার দ্বারাও মাথার চুল চেছে ফেলা যায়।

উমরার সমাপ্তি
ইহরাম, তাওয়াফ, সায়ি ও মাথা মুণ্ডানোর মাধ্যমে উমরা পালন হয়ে গেল। এবার ইহরামের কাপড় খুলে ফেলুন। এখন থেকে ইহরাম অবস্থায় যা নিষিদ্ধ ছিল, তা আর নিষিদ্ধ থাকবে না। গোসল করে সেলাই করা সাধারণ কাপড় পরিধান করুন। তখন খুশবু ব্যবহার করা জায়েজ। স্ত্রীর সঙ্গেও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যাবে তখন থেকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়