শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৯ জুলাই, ২০১৮, ০৫:৪৪ সকাল
আপডেট : ১৯ জুলাই, ২০১৮, ০৫:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বকাপ শেষ, বিপদ শুরু বাংলাদেশি তরুণদের

ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বকাপ উপলক্ষে মস্কোতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন হাজারো বাংলাদেশি তরুণ। ১৮ জুলাই, বুধবার বণিক বার্তায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপ চলাকালে রাশিয়া হয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশে পাড়ি জমানোর উদ্দেশে মস্কোতে গিয়েছেন হাজারো বাংলাদেশি তরুণ। উন্নত ভবিষ্যতের আশায় অবৈধভাবে মস্কোতে পাড়ি জমানো এসব তরুণ মানবেতর জীবনযাপন করছেন এখন।

বিশ্বকাপ শেষে অবৈধ অভিবাসীদের দেশ ত্যাগের জন্য ১০ দিন সময় দেবে রুশ সরকার। তারপর শুরু হবে অভিযান। ওই অভিযানে অবৈধদের ধরে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

বিশ্বকাপ উপলক্ষে রুশ সরকারের উদারনীতির সুযোগ কাজে লাগিয়েছে সক্রিয় দালাল চক্র। ইউক্রেন, বেলারুশ, ফিনল্যান্ড পাঠানোর কথা বলে দেশের বিভিন্ন জেলার হাজারো যুবকের কাছ থেকে পাঁচ থেকে আট লাখ টাকা নিয়েছেন তারা।

মস্কোর করপোসদোভা এলাকায় এক বাংলাদেশির পরিচালিত মেসে রয়েছেন নোয়াখালীর সুমন (১৭)। সাত লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে রাশিয়াতে নিয়ে এসেছেন নোয়াখালীর গাবুয়া বাজারসংলগ্ন রাশিয়ান প্লাজার মালিক শহিদুল ইসলাম।

মস্কো আসার পর কাগজপত্র করে দেওয়ার নামে সুমনের পাসপোর্ট নিয়ে গেছেন শহিদুল। এমনকি সুমনের সঙ্গে থাকা এক হাজার ডলারও শহিদুল নিয়েছেন। ফলে আদৌ কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন সুমন।

ওই মেসে থাকা আরেক বাংলাদেশি নোয়াখালীর মাইজদী এলাকার ফখরুল ইসলাম। তিনি জানান, শহিদুলের হাত ধরেই ২০১৫ সালে মস্কো আসেন তিনি। মস্কো আসার পর তার পাসপোর্ট নিয়ে গেছে শহিদুল। কাগজপত্র করে দেওয়ার কথা বলে আড়াই হাজার ডলারও নিয়েছে।

কিন্তু কাগজপত্র করে দিতে পারেননি শহিদুল। পাসপোর্টও ফেরত দেননি। পাসপোর্ট না থাকায় ফখরুল ভিসা নবায়ন করতে পারেননি। ফখরুল জানান, বিশ্বকাপ উপলক্ষে অন্তত ৬০-৭০ জনকে টাকার বিনিময়ে রাশিয়ায় এনেছেন শহিদুল। এটাই তার পেশা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক বাংলাদেশি বলেন, ‘অন্য মাধ্যমে রাশিয়া আসলেও বিভিন্ন সময় শহিদুল ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আমার কাছে অর্থ দাবি করেছেন। পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। সক্রিয় এ দালাল চক্র দমনে দূতাবাসের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।’

বগুড়া থেকে এসে মস্কোতে স্থায়ী হয়েছেন ব্যবসায়ী জুয়েল। তিনি বলেন, ‘দালাল চক্রের প্রতারণার কারণে দিন দিন এখানে বাংলাদেশিদের বসবাস ও জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে রুশদের বিরূপ ধারণা তৈরি হচ্ছে।
সূত্র :প্রিয়.কম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়