কায়কোবাদ মিলন: কাশ্মীরে মানবাধিকার লংঘনের ব্যাপারে জাতিসংঘের অভিযোগ সম্বলিত প্রতিবেদন ভারত সরকার নাকচ করে দিলেও পাকিস্তানের অবস্থান ঠিক বিপরীত । গত মাসে জাতিসংঘ স¥রণকালের মধ্যে প্রথম এই ধরণের রিপোর্ট প্রকাশ করে । জাতিসংঘ পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরেও মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত হওয়ার কথা বললেও ভারতের ব্যাপারে নিগ্রহের অভিযোগ বহুগুণ বেশি । ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ১৪৫ জনকে আইন বর্হিভ’তবাবে হত্যার । একই সময়ে মুজাহিদদের হাতে ২০ জনকে হত্যার কথা বলা হয়েছে ।
রিপোর্টটি প্রকাশ মাত্র ভারত এটিকে উদ্দেশ্যমূলক ,বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করে তা প্রত্যখ্যান করে। এ ধরণের রিপোর্ট প্রকাশের যথার্থতা নিয়েও ভারত প্রশ্ন তোলে । এই রিপোর্টের মাধ্যমে ভারতের সার্বভেীমত্ব ও ভ’খ-গত মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় ।
এদিকে মঙ্গলবার রিপোর্টটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি কমিটিতে উপস্থাপিত হলে জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি সন্তোষ প্রকাশ করলে ভারতীয় স্থায়ী প্রতিনিধি তন্ময় লাল তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন । তিনি বলেন, এই তথাকথিত রিপোর্টের প্রণেতা কোন অনুমোদন ছাড়াই অসমর্থিত সূত্রের সাহায্যে এটি তৈরি করেছেন ।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন মংগলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারত ও পাকিস্তান সরকার জাতিসংঘের টিমকে শর্তহীনভাবে কাজ করতে না দেয়ায় প্রত্যন্ত পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়েছে । জাতিসংঘ আরও বলে, ভারতীয় পত্রপত্রিকা ধারাবাহিকভাবে এই রিপোর্টকে পাকিস্তান প্রণীত ও ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করে আসছে । জাতিসংঘ তাদের ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়ায় আরও বলে, দুই কাশ্মীরের দলন পীড়নের ব্যাপারে যেখানে তদন্ত হওয়া জরুরি সেখানে ভারত তা তারস্বরে অস্বীকার করছে । ডন
আপনার মতামত লিখুন :