শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০১৮, ০৫:২৭ সকাল
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০১৮, ০৫:২৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জীবনের ২৭টি জন্মদিন কারাগারে কাটিয়েছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা

ডেস্ক রিপোর্ট: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ও বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের কিংবদন্তি নেতা নেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা। মানুষকে পথ দেখিয়েছিলেন শান্তি ও স্বাধীনতার। ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই উমতাতার কাছে ম্‌ভেজো গ্রামে তার জন্ম। ২০১৩ সালে মৃত্যুবরণ করা ম্যান্ডেলার বুধবার (১৮ জুলাই) ১০০তম জন্মবার্ষিকী। তাঁর সংগ্রামী জীবনের ২৭টি জন্মদিনই কেটেছে কারাগারে। ৯৫তম জন্মদিন থেকেই ছিলেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার সংগ্রাম ও আত্মত্যাগে উজ্জ্বল জীবনের স্মৃতি বিশ্ব ভুলতে পারবে না সহজে।

বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ক্ষমতা আঁঁকড়ে রাখেননি, প্রথম কার্যকালের শেষেই ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে অবসর নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় অবদান রাখার জন্য ম্যান্ডেলা এবং রাষ্ট্রপতি এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্ককে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয় ১৯৯৩ সালে।

দক্ষিণ আফ্রিকার থেম্বু রাজবংশে জন্ম ম্যান্ডেলার। এই থেম্বুরা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ প্রদেশের ট্রান্সকেই অঞ্চলের শাসক। ট্রান্সেকেরই একটি গ্রাম মভেজোতে ম্যান্ডেলা জন্মেছিলেন। তার প্রপিতামহ নগুবেংচুকা ছিলেন থেম্বু জাতিগোষ্ঠীর রাজা। এই রাজার ছেলে ম্যান্ডেলা হলেন নেলসন ম্যান্ডেলার দাদা। দাদি ভিন্ন গোত্রের হওয়ায় রীতি অনুযায়ী ম্যান্ডেলারা রাজবংশে আরোহণের অধিকার হারান।

ম্যান্ডেলার জন্মের সময় নাম রাখা হয় রলিহ্লাহ্লা যার অর্থ দুষ্টু বালক। ডাক নাম নেলসন রেখেছিলেন তার স্কুলের এক শিক্ষিকা। শিশু বয়সে ম্যান্ডেলা কুনু নামের একটি গ্রামে বেড়ে ওঠেন। ছোটবেলার বেশিরভাগ সময়ই কাটে গবাদিপ্রাণী চরিয়ে এবং অন্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে খেলাধুলা করে।

ম্যান্ডেলা তার পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ম্যান্ডেলার বয়স যখন ৯ বছর, তখন তার বাবা যক্ষ্মা রোগে মারা যান। শাসক জোঙ্গিন্তাবা তখন তার অভিভাবক নিযুক্ত হন।

থেম্বু রীতি অনুযায়ী ১৬ বছর বয়সে ম্যান্ডেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ গোত্রে বরণ করে নেওয়া হয়। এসময় তার নাম দেওয়া হয় দালিবুঙ্গা। ম্যান্ডেলা পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ৩ বছরের জায়গায় মাত্র ২ বছরেই জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষায় পাস করেন।

তরুণ বয়স থেকে ম্যান্ডেলা নিয়মিত দৌড় ও বক্সিং প্র্যাকটিস করতেন। ম্যান্ডেলা তার নিজের দেশের মানুষের কাছে অনেক বেশি পরিচিত ‘মাদিবা’ নামে। এটি তার গোত্র নাম। নিজের গোত্রে গ্রামীণ জীবন থেকেই তার উত্থান।

গত চার দশকে ম্যান্ডলা আড়াইশ’র বেশি পুরস্কার পেয়েছেন। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি নেতাকে সম্মান জানিয়ে ২০১০ সালে জাতিসংঘ ১৮ জুলাইকে ম্যান্ডেলা দিবস ঘোষণা করে। সূত্র: বাংলা নিউজ ২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়