শিরোনাম
◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন ◈ চাঁদপুরে পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০১৮, ০২:৩১ রাত
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০১৮, ০২:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চট্টগ্রামে সোনালী ব্যাংকের শাখা স্থানান্তর নিয়ে প্রশ্ন

নিউজ ডেস্ক: দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের লালদিঘী কর্পোরেট শাখা ব্যস্ত ও জনবহুল এলাকা থেকে জনবিচ্ছিন্ন ও অনিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে শাখার ৫০ হাজার গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারি, সিবিএ নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসীর কোনো আপত্তিই কাজে আসছে না। জানা গেছে, ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের একটি স্বার্থান্বেষী মহল সম্পূর্ণ ‘মনগড়াভাবে’ বর্তমান ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নতুন ভবনে শাখা স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। অথচ ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার আগে কোনো স্বীকৃত কর্তৃপক্ষের মতামত নেয়া হয়নি।

ব্যাংকের কয়েকজন গ্রাহক বলেন, বর্তমান শাখাটি নগরীর ব্যস্ততম এলাকা কেসিদে রোডের নিজস্ব ভবনে প্রায় ২ হাজার বর্গফুটের ওপর অবস্থিত। এই শাখার আশেপাশেই অনেক ভাল ভবন ছিল। কিন্তু সেখানে না গিয়ে ‘রহস্যজনক’ কারণে শাখাটিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ‘মাদকের আখড়া’ হিসেবে পরিচিত বান্ডেল রোড মেথরপট্টির নির্জন গলির মধ্যে। উক্ত এলাকায় প্রায় সময় নানা ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে থাকে।

কেসিদে রোডে অবস্থিত লালদিঘী শাখায় সঞ্চয়ী, চলতিসহ সকল ধরনের আমানত, ঋণ, বৈদেশিক বাণিজ্য, সরকারি চালান, সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের লেনদেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতাসহ চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৬৫টি শাখার ক্যাশ আদান প্রদান ও ক্লিয়ারিং হাউজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এ কারণে প্রতিদিন ওই শাখায় হাজার হাজার গ্রাহকের সমাগম ঘটে যার মধ্যে অসংখ্য বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা নারী রয়েছেন। শাখাটি নির্জন এলাকায় সরিয়ে নেয়া হলে এ ধরনের গ্রাহকদের অনেক সমস্যা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এছাড়া অন্যান্য গ্রাহককে ছিনতাইকারীর খপ্পড়ে পড়ে সর্বস্ব হারাতে হতে পারে।  গ্রাহক দুর্ভোগের পাশাপাশি ব্যাংকটিকে ভাড়া বাবদ প্রতিমাসে  প্রচুর টাকা গুনতে হবে। নতুন যে ভবনটি নেয়া হয়েছে তার মাসিক ভাড়া সাড়ে তিন লাখ টাকা। অগ্রিম হিসাবে ভবন মালিককে দেয়া হচ্ছে প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা। স্বার্থান্বেষী মহল এভাবেই সরকারি টাকার অপচয়ের মিশনে নেমেছে বলে ব্যাংকের গ্রাহকরা ইত্তেফাকের কাছে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, নতুন ভবন ভাড়া নেয়ার পেছনে সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তাকে লোভনীয় প্যাকেজ উপহার দেয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের যোগসাজশে একটি ভুইফোঁড় ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির সাথে দীর্ঘ মেয়াদী ভাড়ায় এ চুক্তি করা হয়েছে।
ব্যাংকের একাধিক গ্রাহক বলেন, বর্তমান লালদিঘী ভবনটি বুয়েটের মাধ্যমে পরীক্ষা করে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লাভবান হবে। এছাড়া গ্রাহকদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বিবেচনা না করে এ জাতীয় হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয়া হলে ব্যাংকের সুনামও ক্ষুণ্ন হবে। নতুন কোনো ভাল ভবন না পাওয়া পর্যন্ত আগের মতই কেসিদে রোডের বর্তমান ভবনে বাণিজ্যিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড যাতে পরিচালনা করা হলে রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকটি প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।সূত্র: ইত্তেফাক
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়