মো. ইউসুফ আলী বাচ্চু : প্রায়াত স্বামী ড. এম এ হান্নান ফিরোজ রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়াম্যান ছিলেন। দুঃসময়ে রাজাপুর - কাঁঠালিয়ার মানুষের পাশে থেকেছেন। সংগঠনকে সুসংগঠিত করার জন্য নিরলস কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। ঝালকাঠি তথা বরিশালেন অনেক ছেলে মেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে যা নিজ এলাকা (রাজপুর-কাঠালিয়া) এবং বরিশালবাসী কখনও ভুলতে পারবে না। তারই সহধর্মীনী ফাতিনাজ ফিরোজ, যিনি স্বামীর মত ঝালকাঠী-১ রাজাপুর, কাঠালিয়ার তথা বরিশানের মানুষকে আপন করে নিয়েছেন। নিয়মিত খোঁজ রাখছেন নেতা-কর্মীদের পাশাপশি গরীব দুখী মানুষের।
রাজাপুরের বাসিন্দা জাকির হোসেন জানান, ড. হান্নান ফিরোজ ছিলেন কর্মীদের আস্থার যায়গা। আমরা যখনই তার কাছে কোন সুপারিশ নিয়ে গেছি তা হাসি মুখে করে দিয়েছেন। তার মনটা ছিল মহা সাগরের মত বিশাল।
এ বিষয় জানতে চাইলে ফাতিনাজ ফিরোজ জানান, আমার স্বামী এমন একজন মানুষ ছিলেন, তিনি সব সময় এলাকার মানুষের কথাই ভাবতেন মাঝে মাঝে আমি বিরক্ত হতাম কিন্তু ওর মৃত্যুর পর বুজতে পারলাম ওকে মানুষ কতটা ভালবাসে। তিনি এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের ভাগিদার ছিলেন আমিও তার সহধর্মিণী হিসেবে তার ভূমিকায় এই এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই। আমি আমার স্বামীর অসমাপ্ত স্বপ্ন পুরন করার জন্য বাকী জীবন ব্যয় করব এবং দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যউন্নয়নের জন্য কাজ করব।
আমি একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার বোন আমার বাবা ছিলেন মুজিবনগর সরকার গঠনে সক্রিয় ভুমিকা পালনকারী মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক। আমি এবং আমার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।
১৯৭১ সালে আমার বাবা জনাব সাইদুর রহমান মুজিবনগর সরকার গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী ৬৪ নং কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি কোলকাতাস্থ ডেপুটি হাইকমিশন অফিসে কর্মরত ছিলেন। আমার বড়ো ভাই মোঃ জামাল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।
আমাকে যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য মনেকরেন আর তিনি যদি আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাকে এই ঝালকাঠি - ১ ( রাজাপুর - কাঁঠালিয়া ) আসনে মনোনয়ন দেন ইনশাল্লাহ আমি নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হবো এবং এই জনপদ কে মাদক মুক্ত, শিক্ষিত ও উন্নত জীবনমান সম্পন্ন এলাকায় রুপান্তরিত করবো।
আপনার মতামত লিখুন :