তরিকুল ইসলাম : মিয়ানমারের পছন্দ এমন রোহিঙ্গদের নিয়ে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার বিষয়ে বাংলাদেশকে তাগিদ দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের দু’টি সদস্য রাষ্ট্রসহ এ ইস্যুতে মধ্যস্থতাকারী বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র। একই সঙ্গে সতর্ক করে তারা বলছে, ঢাকা-নেপিড’র মধ্য প্রত্যাবসন চুক্তি অনুযায়ী যেহেতু এখনো কোনো রোহিঙ্গা রাখাইনে ফিরতে পারেনি, সেহেতু মিয়ানমারের দেওয়া ২ হাজার একশ’ ৫৪ জনের তালিকা দিয়েই প্রত্যাবানটা দ্রুত শুরু হওয়া দরকার। আমাদের এ প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র।
তিনি বলছেন, দ্বিপক্ষীয় সমঝোতায় চীনসহ রোহিঙ্গা সংকটের উৎসাহদাতা বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো দ্রুত ভেরিফাইড রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে প্রতিনিয়ত ঢাকাকে তাগিদ দিচ্ছে। অন্যদিকে মিয়ানমারও দাবি করছে তারা তাদের বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা যাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে তাদের যেকোনো সময় গ্রহণে তারা প্রস্তুত। বাংলাদেশের দেওয়া ৮ হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ২ হাজার একশ’ ৫৪ জনের বিষয়ে অনাপত্তি দিলেও মিয়ানমার তাদের প্রত্যাবাসনে এখনো কোনো আগ্রহ দেখায়নি। দেশটি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মেটেও আন্তরিক নয়। যদি তাই হতো তবে, তারা রাখাইনে সরাসরি উন্নয়ণ কর্মকান্ড পরিচালনা করতো।
পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনে রাখানের প্রস্তুতি দেখতে কাছাকাছি সময়ের মধ্যই একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে দেশটিতে সফর করবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সেটা ঠিক তবে নাগাদ যাচ্ছেন এ বিষয়ে কোনো ধারনা দেননি শহিদুল হক। মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, দেশটির সম্মতির অক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ। যদি সম্মডু মিলে তবে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলটির মিয়ানমার যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। দেশটির মনোভাব এবং প্রত্যাবাসনে গতির ধারণা পেতেই মূলত সফরটি হবে। এদিকে যে সকল রোহিঙ্গাদের নিতে মিয়ানমার রাজি হয়েছে তাদের মৌলিক বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি দেশটিকে বিচারের মুখোমুখি করতে শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে কক্সবাজারে আশ্রায় নেওয়া রোহিঙ্গা সম্প্রদায়।
আপনার মতামত লিখুন :