রাশিদ রিয়াজ : ২০১৬ সালে প্রাক্তন স্বামী শিরান রাজা তাকে তিন তালাক দেওয়ার পর এই প্রথার বিরুদ্ধে সরব হন নিদা খান। দায়রা আদালতে ওই বিবাহ-বিচ্ছেদের বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত তা অবৈধ ঘোষণা করে। এই কারণে তিনি মুসলিম কট্টরপন্থীদের বিষনজরে পড়েন। বর্তমানে তিন তালাক এবং তার বিরোধিতার জেরে ইসলাম থেকে বিতাড়িত নারীদের সাহায্যে তিনি নিয়োজিত। অথচ তার বিরুদ্ধে সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে ফতোয়া জারি করলেন বরেলির দরগা আলা হজরতের মৌলবি মুফতি আফজল রাজভি।
সোমবার জারি করা ফতোয়ায় অবশ্য নিদা খানের নাম ‘হিন্দা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে দরগার অন্য এক মৌলবি পরে ব্যাখ্যা করেন যে নামের ভুল থাকলেও ফতোয়াটি নিদার বিরুদ্ধেই জারি করা হয়েছে।
নিদা খানের বিরুদ্ধে জারি করা ফতোয়া সম্পর্কে বরেলির জামা মসজিদের ইমাম খুরশিদ আলম রাজভির প্রশ্নের জবাবে মুফতি আফজল রাজভি জানিয়েছেন, কোরানে হালালার উল্লেখ রয়েছে। হিন্দা ক্ষমা না চাইলে তাঁকে বয়কট করা উচিত। কেউ তাঁকে স্বাগত জানাবেন না এবং তাঁর সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করবেন না বা অসুস্থ হলেও তাঁর বাড়ি যাবেন না। এমনকি মৃত্যুর পর তাঁর আত্মার শান্তি কামনা অন্তিত প্রার্থনা করা হবে না এবং তাঁকে কোনও গোরস্থানে কবর দেওয়া চলবে না।
বরেলি শহরের কাজি মৌলানা আসজাদ রাজা খানের উপস্থিতিতে ফতোয়াটি লেখা হয়। এদিন ইমাম খুরশিদ আলম রাজভি জানান, ‘নিদা শরিয়া আইনের সংশোধন চান যা কি না স্বয়ং আল্লাহর সৃষ্টি। কোরান ও হাদিস বিরোধী বিবৃতি দেওয়ার কারণে নিদাকে ইসলাম থেকে নির্বাসন দেওয়া হল। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলে তাঁকে আবার আমরা বোন হিসেবে স্বীকৃতি দেব। যদি কোনও মহিলার তালাক অথবা অন্য বিষয় নিয়ে আপত্তি থাকে. তাহলে তাঁদের দারুল ইফতার (মৌলবিদের সমাবেশ) দ্বারস্থ হওয়া প্রয়োজন, কারণ তা ইসলাম আইনসিদ্ধ।'
কাউকে বয়কট করা ভারতীয় সংবিধান বিরোধী পদক্ষেপ। এর উত্তরে ইমাম বলেন, ‘আমরা শরিয়াত আইন অনুযায়ী বয়কট প্রক্রিয়া কার্যকর করার ঘোষণা করেছি।’ তবে তিনি ফতোয়াটি খারিজ করে জানিয়েছেন, এমন ফতোয়া আইনসিদ্ধ নয়। এই সময়
আপনার মতামত লিখুন :