শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ০৮:১২ সকাল
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ০৮:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক সপ্তাহ ধরে বিসিকের মহাব্যবস্থাপক নিখোঁজ

সুজন কৈরী: বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) মহাব্যবস্থাপক শরিফুল ইসলাম (৫৮) গত ১১ জুলাই থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে তার পরিবার।

পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, শরীফুল ইসলাম ডিপ্রেসনে ভুগছিলেন। তার একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আমেরিকায় চলে যায়। এরপর থেকে তিনি একটু ডিপ্রেসড। গত রমজানেও তিনি বাসায় কিছু না বলে এভাবে চলে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তাকে বরিশালের কীর্তনখোলা থেকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘তার সঙ্গে মোবাইলও নেই। তারপরও আমরা বিভিন্ন থানা এলাকায় তার ছবি দিয়েছি, তথ্য দিয়েছি। সবরকমের চেষ্টা চলছে।’

নিখোঁজ শরিফুলের স্ত্রী লায়লা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি বিসিকের ডেপুটি ম্যানেজার। ১১ জুলাই সকালে তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সকাল ১১টার দিকেও তিনি আমাকে ফোন না দেওয়ায় আমি নিজেই ফোন দেই। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এরপর আমি ওই ডাক্তারের সহকারীকে ফোন দেই। তিনিও জানান আমার স্বামী হাসপাতালে যায়নি। এরপর আমি অফিসে তার সেকশনে যাই, সেখানেও তাকে না দেখে আমি সোজা আমাদের শান্তিনগরের বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে দেখি দরজা লক করা। তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পাই লাইট ফ্যান জ্বলছে। তার মোবাইল, ঘড়ি, চাবি সব আছে। তখন আমি বিষয়টি সবাইকে জানাই।’

লায়লার বড় বোন মাহমুদা বেগম বলেন, ‘গত রমজানেও তিনি এরকম একবার চলে গিয়েছিলেন। তাদের একমাত্র মেয়ের গত জানুয়ারিতে বিয়ে হয়েছে। এরপর সে স্কলারশিপ পেয়ে আমেরিকায় চলে যায়। তখন শরিফুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। মেয়েকে নিয়ে তিনি চিন্তা করতেন খুব বেশি।’

তিনি বলেন, ‘শান্তিনগরের বাসায় তারা স্বামী-স্ত্রী থাকতেন। ঘটনার দিন সকালে শরিফুল আমার বোনকে জানায়, তার শরীর খারাপ, অফিসে যাবেন না। তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা বলে বাসায় থেকে যান। ১১ জুলাই সকাল পৌনে ১১টার দিকে তিনি তার শান্তিনগরের বাসা থেকে বের হয়ে যান।

তিনি আরো বলেন, ‘শরিফুল ইসলাম একটু বিষাদগ্রস্ত ছিলেন। তার চিকিৎসা চলছিল। তিনি ঢামেক হাসপাতালে কাউন্সিলিং নিতেন। ১১ জুলাই তার সেখানে কাউন্সিলিংয়ের জন্য যাওয়ার কথা ছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়