তরিকুল ইসলাম : আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই রোহিঙ্গারা পেতে যাচ্ছেন বায়োমেট্রিক পরিচয়পত্র। যদিও রোহিঙ্গাদের তথ্যভান্ডার তৈরিতে এ নিয়ে নতুন করে সময়-সীমা বেড়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিচয় ব্যবস্থাপনা এবং ডকুমেন্টেশনের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একত্রে যাচাইকরণের কাজ করছে। এ যাচাইকরণের কাজটি শেষ হতে আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয় মাস লাগবে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
একই সঙ্গে সংস্থাটি বলছে, এর মাধ্যমে পরিচয় ব্যবস্থাপনা, ডকুমেন্টেশন, সুরক্ষা, সহায়তার বিধান, জনসংখ্যা পরিসংখ্যান এবং সমাধানে ব্যবহারের জন্য একটি একত্রিত তথ্যভান্ডার (ডাটাবেজ) তৈরিতে সাহায্য করবে। চোখের স্ক্যান, আঙুলের ছাপ এবং স্বতন্ত্র পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ছবিসহ বিভিন্ন বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সব শরণার্থীকে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনএইচসিআর কর্তৃক যৌথভাবে প্রদত্ত এবং অনেকটা ক্রেডিট কার্ড সম মাপের প্লাস্টিকের এ পরিচয়পত্রে আছে জালিয়াতি-বিরোধী বিভিন্ন উপাদান যা বাংলাদেশে সুরক্ষা এবং সহযোগিতা লাভের জন্য শরণার্থীদের সাহায্য করবে।
সংস্থাটির কক্সবাজার অপারেশনের প্রধান কেভিন জে. অ্যালেন বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বৈধ পরিচয় প্রতিষ্ঠার জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এটি পরিষ্কার জানিয়ে দেয় যে, রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব আছে। তাদের অধিকারগুলো অবশ্যই সম্মানিত হওয়া উচিত এবং সমাধানের ভিত্তিটা রচনা করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ কাজে ইউএনএইচসিআর এবং সহযোগী সংস্থার আনুমানিক ১৫০ জন কর্মীকে কাজে লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি সরকার ও কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আগে নিবন্ধনকৃত সব শরণার্থীদেরও এ অনুশীলনের আওতায় আনা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :