কমরেড খালেকুজ্জামান : ছাত্রলীগ আসলেই সীমালঙ্ঘন করে চলেছে। আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা, আক্রমণ সেগুলো করে এখন শিক্ষকদের উপরেও যখন তারা হামলা করে, তার মানে হলো যে, এরা সীমালঙ্ঘন করে চলেছে। শাসন ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকারসহ হারিয়ে একটা বেশামাল দশায় তারা চলে গেছে। যেটা এখন দলের ইঙ্গিতেই হোক বা দলের নিয়ন্ত্রণে থেকেই হোক, যে জায়গায় এখানে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন, ছাত্রলীগের আচার-আচরণ যে জায়গায় পৌঁছেছে, সেটা শুধুমাত্র ছাত্র ইউনিয়নের অস্থিতিশীলতাকেই নির্দেশ করে না। দেশে এখন যা চলছে, এটা গোটা শাসন ব্যবস্থায় যত ধরনের অরাজকতা, অনিয়ম, উশৃঙ্খলতা, সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য এবং দুর্নীতি, দুঃশাসন এই সমস্ত কিছু একটা চরম সীমায় পৌঁছেছে বলে নির্দেশ করে ।
ফলে অবিলম্বে এখানে যে সন্ত্রাসী, উশৃঙ্খল কার্যকলাপ যারা করছে এবং শিক্ষকদেরকেও যারা অবমাননা, লাঞ্চনা দিতেও দ্বিধাবোধ করে না, এই সমস্ত বিরোধী এবং দুর্বৃত্তায়নের এই সুযোগটা করা হয়েছে। যারা এভাবে হামলা করেছে, তাদের গ্রেফতার এবং বিচার যদি হতো তাহলে ভাল হতো। আন্দোলনকারীদের উপর একদিকে ছাত্রলীগ চড়াও হচ্ছে, আরেকদিকে তাদের গ্রেফতার এবং রিমান্ডে নিয়ে আন্দোলনকারীদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় হামলাকারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে অবিলম্বে এই সমস্ত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা এবং তাদের উপর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করা এবং আন্দোলনকারীকে মুক্তি দেওয়াই বর্তমান সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।
পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, বাসদ/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :