মুহাম্মদ আশ্রাফুল আলম ভূঁইয়া : কোটা সংস্কার আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আবারো হামলা চালিয়েছে ‘ছাত্রলীগ’। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধনরতদের উপর ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন এ হামলা করে। ১২টার দিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করেছে। নির্যাতনের শিকার তিন শিক্ষক হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মাদ তানজিম উদ্দিন খান।
অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, বর্তমানে ক্যাম্পাস শিক্ষক ও শিক্ষার্থী কারো জন্য নিরাপদ নয়। সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ জানানোর কোনো অধিকার নেই। সরকারি চাকরির পরীক্ষায় কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছে দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারি চাকরিতে সকল ধরনের কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরও কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপর জারি না হওয়ায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ব্যানারে সারাদেশে শিক্ষার্থীরা আবারো আন্দোলনে নামলে ছাত্রলীগ কর্তৃক বার বার হামলার শিকার হয়।
কোটা সংস্কারের চলমান দাবি ও ছাত্রলীগের হামলার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, হাইকোর্টের রায় থাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কার করা সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে ৪৪ শতাংশ মেধায় এবং ৫৬ শতাংশ বিভিন্ন কোটার মাধ্যমে নিয়োগ হয়। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ শতাংশ, নারী কোটায় ১০ শতাংশ, জেলা কোটায় ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটায় ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী কোটায় ১ শতাংশ। এ প্রচলিত কোটা ব্যবস্থাকে চরম বৈষম্য মনে করে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। আমাদের প্রাণের দাবী শিক্ষকদের উপর যারা হামলা করেছে এবং কোটার একটি সুষ্ঠু সমাধান করবেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী করবেন।
পরিচিতি: সভাপতি, ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট হিউমান রাইটস ফাউন্ডেশন, ডবলমুরিং থানা/ মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :