শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ০৮:১৯ সকাল
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ০৮:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খাওয়ার উপযোগী হয়নি, তবুও অগ্রীম টাকা দিয়ে মালটা কিনবেন পাইকাররা!

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মালটা ও কমলার বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে। চলতি বছর এই দুই ফলের ভালো ফলনে ব্যাণিজ্যিকভাবে এগুলো চাষের কথা ভাবছে কৃষকরা।

সরকারের কৃষি বিভাগের ‘সাইট্রাস ভিলেজ প্রজেক্ট’ এ আওতায় মালটা, কমলাসহ জাম্বুরা ও লেবু চাষ হচ্ছে বিজয়নগরে সবচেয়ে বেশি।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ উপজেলায় ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে এসব ফলের চাষ করা হয়। এর ৯০ শতাংশই মালটা। এখানে প্রায় ৩৫ হাজার চারা রোপণ করা হয় মালটা ফলের। স্থানীয়ভাবে কৃষক অধিদপ্তর সরকারিভাবেই কৃষকদের মাঝে এসব চারা বিতরণ করেন। এ প্রজক্টে মোট বাগান রয়েছে ১২০ থেকে ১৫০ টির মতো। এছাড়া বিভিন্ন বাড়িতেও চারা রোপণ করা হয়।  প্রায় বাগানেই ভালো ফলন হয়েছে। বাকিগুলোতেই আগামী বছর ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষকরা।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এখানে বারি-১ মালটা ও কমলা, ডোরাকাটা মালটা, নাগপুরি কমলা, বাতাবি লেবু, কলম্বো লেবু ও জারা লেবু চাষ হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, পাহাড়পুর ও চম্পকনগর ইউনিয়নের প্রায় বিভিন্ন বাগানে মালটা, কমলাসহ অন্যান্য ফলন হয়েছে। দুই তিন বছর বয়সী মালটা গাছের কোন কোনটিতে ১৮০/২০০ এর বেশি মালটা ধরেছে। কমলার ফলনও ভাল হয়েছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে বাগানের উৎপাদিত মালটা খাওয়ার উপযোগি হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই মালটা কেনার জন্য পাইকারি ক্রেতারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে অগ্রিম টাকা দিয়ে কিনতে চাইছে বাগান। তবে কমলা খাওয়ার উপযোগী হতে আরো কিছু সময় লাগবে।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয়, নোয়াবাদী চাষী মো. ইসহাক, বিষ্ণপুরের শিব্বির আহমেদ সরকার ও মেরাসারিন সোহাগ ভূঁইয়ার সঙ্গে।  তারা জানান, ৬২ শতাংশ জমিতে মালটা, কমলা, জাম্বুরা ও লেবুর চাষ করেছেন। আগে ওই জমিতে বেগুনের চাষ করতেন। দীর্ঘমেয়াদী ফলন পাওয়ার আশায় ও কম শ্রম দিতে অধিক লাভের আশায় এসব ফলের চাষ করছেন। তারা এও বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের লোকজন এসব চাষে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন। ট্রেনিংও করান। এখন বাগানের ফলন দেখে আমরা খুব আশাবাদী।

কথা হয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. হাদিউল ইসলাম ভূঁইয়া সৃজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে কৃষকদেরকে মালটা ও কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ করি। প্রতিনিয়তই খোঁজ রাখছি। এখন কৃষকরাই বলছেন তারা খুশি। অনেকেই এখন মালটা ও কমলা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মশকর আলী বলেন, ‘মালটা বছরে দুইবার ফলন হয়। এটি লাভজনক ফল। আমার কাছে মনে হচ্ছে বিজয়নগরের লিচু, কাঁঠালের উৎপাদনের চেয়ে মালটা চাষ আরো বেশি ভালো হবে। এছাড়া কমলা, জাম্বুরা ও লেবুর ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছি।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়