শোভন দত্ত : বছরজুড়ে চাহিদার শীর্ষে থাকে আপেল। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আপেল আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪০৩ টন। এ খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯৩৬ কোটি ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৫৩৫ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আপেল আমদানি হয়েছিল ২ লাখ ১৮ হাজার ১৬৩ টনের বেশি। এ খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৭৯২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বেশি। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে আপেল আমদানি বাবদ বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৪৩ কোটি ১৬ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৮ টাকা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার মো. বায়েজিদ হোসাইন বলেন, আমাদের দেশে বিদেশি ফলের মধ্যে বেশি আমদানি হয় বিভিন্ন জাতের আপেল। চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল থেকেই বেশি আপেল আমদানি হয়। আপেল আমদানিতে প্রায় ৯২ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। এর মধ্যে কাস্টম ডিউটি (সিডি) ২৫ শতাংশ, আরডি ৩ শতাংশ, এসডি ২০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ এবং এআইটি-এটিভি মিলে ৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, ফল আমদানি করা হয় বিশেষায়িত রেফার কনটেইনারে। যে কনটেইনারে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। নয়তো এসব ফল পচে যায়। ফলের চালান খালাসে খুব বেশি সময়ক্ষেপণ করা হয় না। শুধু দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে যে ক’টি চালান কায়িক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয় সেগুলো খোলা হয়।
সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কমলা-মাল্টা আমদানি হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৭০ টন। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৫৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এর আগের অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১ লাখ ২ হাজার ১০০ টন।
এ ছাড়া ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আঙুর আমদানি হয়েছে ১৫ হাজার ৫২৯ টন। রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০৯ কোটি ৫৪ লাখ ২১ হাজার টাকা। এর আগের অর্থবছরে আঙুর আমদানি হয়েছিল ৯ হাজার ১৫৭ টন।
আপনার মতামত লিখুন :