এম এ রাশেদ: প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানদের পর বোলাররা ছিলেন খুবই ধারালো। এবার বোলারদের পর ব্যাটসম্যানরা। তাতে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিল পাকিস্তান। ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের বিপক্ষে নিল ২-০ এর লিড। বুলাওয়েতে সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান, ১৪ ওভার হাতে রেখে। অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকানো ওপেনার ফখর জামান হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।
এদিন পাকিস্তানের সামনে ছিল ১৯৫ রানের টার্গেট। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো ওপেনার ইমাম-উল-হক এদিন ৪৪ রান করলেন। অন্য ওপেনার ফখর জামানের সাথে এবার ১১৯ রানের জুটি তার। পাকিস্তান যে দারুণ এক ওপেনিং জুটি পেয়ে গেছে তা প্রমাণিত এই ম্যাচে ফখরের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে। ১২৯ বলে ১৬ চারে ১১৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফখর। ক্যারিয়ারের ১৫ ম্যাচে এটা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তার। আর বাবর আযম নট আউট ২৯ রানে।
ব্যাটসম্যানদের কাজটা আগেই সহজ করে রেখেছিলেন বোলাররা। ৪৯.২ ওভারে ১৯৪ রানে তারা অলআউট করে দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়েকে। এর পেছনে দুই পেসার উসমান খান ও হাসান আলীর বড় অবদান। ১০ ওভারে ৩৬ রানে ৪ উইকেট উসমানের। মাত্র ৪ ওয়ানডেতেই ১২ উইকেট হয়ে গেল এই ২৪ বছর বয়সী বাঁ হাতি পেসারের। হাসান ৩২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এদিন অবশ্য সামান্য প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা দেখা গেছে। দুটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস আছে। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৫৯ রান করেছেন। ৫০ রান এসেছে পিটার মুরের ব্যাট থেকে। এছাড়া আর বলার মতো আছে তারিসাই মাসাকানদার ২৪। অন্যদের ব্যর্থতার খাতায় ফেলতে হয়। উসমান টপ অর্ডারের পর লোয়ার মিডল অর্ডার ভেঙেছেন। হাসানের শিকার মিডল অর্ডার। সব মিলে জিম্বাবুয়ে দল পাকিস্তানের বোলিং-ব্যাটিংয়ের সাথে কিছুতেই পেরে উঠেছে না।
আপনার মতামত লিখুন :