শিরোনাম
◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১০ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত বিএনপির ◈ কেউ যেন নিরাপত্তাহীনতায় না থাকি, আইনের শাসনে জীবনযাপন করি: ড. ইউনূস ◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি: ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ০২:৪৭ রাত
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ০২:৪৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দলে বহুজাতির খেলোয়াড় থাকলেও বর্ণবাদের আশঙ্কা কমছেনা ফরাসি দলে

আসিফুজ্জামান পৃথিল: ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন জিনেদিন জিদান, থিয়েরে অঁরিরা। ২০১৮ সালে দলটিকে আবারও বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, কান্তে, উমতিতিরা। পার্থক্যটা ২০ বছরের হলেও এই খেলোয়াড়দের মধ্যে একটি মিল রয়েছে। তাদের কেউ সরাসরি ফরাসি রক্তের নন। তারা সকলেই অভিবাসী বংশোদ্ভূত।

এই খেলোয়াড়রা ফরাসী জনগণের জন্য লড়াই করে একটি ট্রফি জিতে এনেছেন। ফ্রান্সের মানুষকে আনন্দে ভাসিয়েছেন। ফ্রান্সের বিশ্ববিজয়ী দলটির ২৩ সদস্যের মধ্যে ১৬ জনই অভিবাসী! কিন্তু এর পরেও প্রশ্ন উঠছে ফ্রান্সের জাতীয় ফুটবল দল এবং ফ্রান্সের জনগণের মন কি বর্ণবাদের কালো থাবা মুক্ত হয়েছে? বিশ্বকাপ জয়ের পর খেলোয়াড়দের কালো ও সাদা শিবিরে বিভক্ত হয়ে আলাদা আলাদা উদযাপন এই প্রশ্ন আরো উষ্কে দিচ্ছে।

কিছুদিন আগে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী টিমের গাত্রবর্ণ নিয়ে কথা বলেছেন ফ্রান্সের সাবেক অধিনায়ক জিনেদিন ইয়াজিদ জিদান। জিদান সেবার প্রায় একক নৈপুন্যেই লাস-ব্লুজদের বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন। জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন বল। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ধর্মের কোন ব্যাপার ছিলোনা। গাত্রবর্ণের কোন ব্যাপার ছিলোনা। আমরা এই সব ব্যাপারকেই কখনও গুরুত্বই দেইনি। আমরা একসাথে ছিলাম। এবং প্রতি মূহুর্তকে উদযাপন করেছি।’

সেসময়ের বহুজাতিক দলটিকে একাট্টা করতে ব্যবহার করা হয়েছিলো একটি জনপ্রিয় শ্লোগান, ‘ব্ল্যাক, ব্লেন্স, বেউর’ অর্থ্যাৎ, ‘কালো, সাদা অথবা আরব’। এই শ্লোগানের ভরসাতেই ফরাসি জাতীয় ফুটবল দল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরে। সেই সাথে ফুটবল মাঠেই প্রথম প্রমাণিত হয়যে কেই ফরাসি সমাজের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছাতে পারে।

তবে এর পরেও দলটিকে নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্যের পরিমাণ সম্ভবত ১৯৯৮ সালের আগের চাইতেও বেড়েছে। ফ্রান্সের রাজনৈতিক দল ফ্রন্ট ন্যাশনালের নেতা জিয়ান ম্যারি লি-পেন কিছুদিন আগেই দলটির জাতিগত পরিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন দলটির অধিকাংশ খেলোয়াড় বিদেশী। তাই তারা কিভাবে ফ্রান্সের জাতীয় সংগীত গাইতে হয় তা জানেন না। তার বিরুদ্ধে এ ধরণের বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ অবশ্য পুরাতন। ১৯৯৮ এর বিশ্বকাপ জয়ী দলটি নিয়েও এ ধরণের কথা বলেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে লি-পেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলে তৎকালিন অধিনায়ক মার্সেল ডেসাইলি সহ ফরাসি ফুটবলাররা তার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান। বিজনেস ইনসাইডার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়