সাইদ রিপন: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ছাড়া অন্য কিছু যুক্ত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। তবে ইসি মনে করছে আরপিও সংশোধনী কনসালট্যান্টের কারণেই আটকে আছে। এর আগে আরপিও সংশোধনীর জন্য ইসি পরামর্শক নিয়োগ দিলেও তিনি এখনো কমিশনের কাছে কোন কিছু প্রস্তাব করেনি বলে জানিয়েছে ইসি।
ইসি সচিব বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিও সংশোধনের কোনো পরিকল্পনা ইসির নেই। তবে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হলে তা আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। জানা গেছে, আরপিও সংশোধনের জন্য কয়েক মাস আগে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি আরপিওতে ৩৫টি সংশোধনী আনার সুপারিশ করে। এ বিষয় গত ৯ ও ১২ এপ্রিল আলোচনা করে কমিশন। তবে খসড়াটি চ‚ড়ান্ত হয়নি। সুপারিশগুলো আরও পর্যালোচনার জন্য আবার কমিটিতে ফেরত পাঠানো হয়। পরে আরপিও সংশোধনীর জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে একজন কনসালট্যান্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, আরপিও সংশোধনে আমাকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করা হয়েছিলো। আমরা কয়েকটি সংশোধনীর সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দিয়েছি। কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য একজন কনসালট্যান্টকে নিয়োগ দিয়েছে। তার কাছে ইসির প্রস্তাবিত আরপিও দেয়া আছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি পাওয়া যায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, আরপিও সংশোধনীর জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে একজন কনসালট্যান্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। সংশোধনী প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার, প্রার্থীদের জামানত বৃদ্ধি ও পোলিং এজেন্টদের পরিচয়পত্র প্রদান। নিয়োগপ্রাপ্ত পরামর্শক তার প্রস্তাব দিলেই আরপিওটি দ্রুতই কমিশন সভায় প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হবে। ইসির অনুমোদনের পর প্রস্তাবটি জাতীয় সংসদে পাস করাতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :