শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ০১:৪৮ রাত
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ০১:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেখানে মাদক, সেখানেই অভিযান চলছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সুজন কৈরী : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাদকবিরোধী অবস্থানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নেয়া হবে। আমরা এখন মাদকবিহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। ২০২১ সালের আমাদের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছি। মাদক নির্মূল হলে আমরা ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের দিকে এগুবো। যেখানেই মাদকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে আমরা সেখানেই অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এভাবেই একদিন বাংলাদেশ থেকে মাদক নির্মূল হবে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের (ডিএনসি) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলনে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা কোরিয়া ইন্টান্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) ও ডিএনরিস’র যৌথ উদ্যোগে ‘দ্যা প্রজেক্ট ফর ইলিসিট ড্রাগ ইরাডাকশন অ্যান্ড এডাভান্সড ম্যানেজমেন্ট থ্রো ইট (আই ড্রিম ইট)’ শীর্ষক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ডিএনসিকে যানবাহন ও যন্ত্রপাতি হস্তান্তর উপলক্ষ্যে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ প্রজেক্টের মাধ্যমে পাওয়া যানবাহন ও যন্ত্রপাতি ডিএনসির কাজকে আরো গতিশীল করবে। বাংলাদেশের জন্য মাদক একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের সবচেয়ে যেটি বড় সমস্যা সেটি নিয়ে আমরা সবাই কাজ করছি। কোয়কা যে যন্ত্র প্রদান করেছে তার মাধ্যমে মাদক বিক্রেতা বা ক্রেতা যেই হোক না কেন তাদের সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। যন্ত্রের পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই ধরা পড়বে কার কাছে মাদক আছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে আমরা মাদকবিহীন বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারবো।
অনুষ্ঠানে কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর জো হান-গু বলেন, ‘আই ড্রিম ইট’ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে যেসব যন্ত্রপাতি ও কম্পিউটার সরবরাহ করা হলো তা দিয়ে মাদক নির্মূলের পথ সহজ হবে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাদক শনাক্তে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

ডিএনসির মহাপরিচালক (ডিজি) জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আই ড্রিম ইট’ প্রজেক্টের মাধ্যমে আমাদের কাছে হস্তান্তরিত যন্ত্রের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ৩৭টি সেবা সহজীকরণ হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের রাসায়নিক পরীক্ষাগার আধুনিকরণ করা হবে। প্রজেক্টের বাজেটের ৪ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটি ২০১৯ সালের মধ্যে শেষ হবে।

এর আগে ‘আই ড্রিম ইট’ প্রকল্পের আওতায় মাদকদ্রব্য শনাক্তকরণ যন্ত্র, গাড়ী, কম্পিউটারসহ ২৯ ধরনের যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করা হয়। মাদকদ্রব্য শনাক্তকরণ যন্ত্রটি বাংলাদেশ সর্বপ্রথম। এর মাধ্যমে মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের কাজটি আরো সহজ হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়