সাজিয়া আক্তার : বিআইবিএম সিদ্ধান্ত না মেনে এখনো চড়া সুদে আমানত নিচ্ছে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংক। এতে করে সরকারিসহ যেসব বেসরকারি ব্যাংক সুদ হার কমিয়েছে তারা পরেছে বিপাকে। নতুন করে আমানত পাচ্ছে না তারা। আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে তৈরি হতে পারে সংকট। উল্টো ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বিপুল অর্থ বেড় হয়ে সঞ্চয়পত্রে আটকে যাবার শঙ্কা বিশ্লেষকদের।
বিশেষ আমানত প্রকল্পে এনসিসি ব্যাংক এখন প্রতি মাসে মাসিক মুনাফা ৯৫০ টাকা, অর্থাৎ সুদেরহার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে ইবিএল ব্যাংক আমানতে দিচ্ছে ৮ শতাংশ সুদ, অর্থাৎ লাখে ৮’শ টাকা। সিটি ব্যাংক ৫ বছর মেয়াদী আমানতে দিচ্ছে ৭ শতাংশ। আর প্রিমিয়ার ব্যাংকে ১ বছর মেয়াদী আমানতে পাওয়া যাচ্ছে ৮ শতাংশ সুদ।
অথচ বাংলাদেশ এসোসিএশন অব ব্যাংকের সিন্ধান্ত ছিল চলতি মাসের শুরু থেকেই আমানতে সুদ হবে ৬ শতাংশ। সোনালী, অগ্রনী, জনতাসহ কয়েকটি বেসরকারি খাতের ব্যাংক সেটি কার্যকরও করেছে।
রুপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান বলেন, যেহেতু আমানতের টাকা কমানোর কথা বলা হয়েছে সেহেতু এটাকে অবশ্যই আমানতের টাকা কমাতে হবে।
ব্যাংক কলিকদের সিন্ধান্ত ব্যাংক গুলো নিজেরাই না মানলে ৬ শতাংশের কেউয়েই আমানত পাবে না।
বিআইবিএম অধ্যাপক ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানর্জি বলেন, ব্যাংক মালিকদের যে সংগঠনটা আছে তারা সরকারের কাছে কমেটমেন্ট করেছে। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে সার্বিক ভাবে যে নির্দেশনা এসেছে তা একভাবে কাজ করা। তা না হলে ৬ শতাংশে সব ব্যাংক আমানত সংগ্রত করতে পারবে না এবং মার্কেটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
আমানতের সুদ হারের এই পদ্ধতি বাস্তবসম্মত নয় বলছেন বিশ্লেষকরা। ঋণ আমানত সুদ পার্থক্য ৪ শতাংশের বেশি রয়েছে এমন ৪০টি ব্যাংকের কাছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সূত্র : ডিবিসি টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :