শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ১১:২৩ দুপুর
আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ১১:২৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৌলভীবাজারের ৪ আসামীর রায় মঙ্গলবার

স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আকমল আলী তালুকদারসহ চার জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন।

গত ২৭ মার্চ উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার আসামীরা হলেন, মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার আকমল আলী তালুকদার, আব্দুন নূর তালুকদার ওরফে লাল মিয়া, আনিছ মিয়া ও আব্দুল মোছাব্বির মিয়া। এদের মধ্যে একমাত্র আকমল আলী কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক রয়েছে।

প্রসিকিউশনের পক্ষে এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর শেখ মুশফিক কবীর ও প্রসিকিউটর সাইয়েদুল হক সুমন। আর আসামি আকমলের পক্ষে আইনি লড়াইয়ে ছিলেন অ্যাড. আবদুস সোবহান তরফদার। এছাড়া পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান যুক্তি উপস্থাপন করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, গুম, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। বিগত ২০১৭ সালের ৭ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ৫৯ জনকে হত্যা, ৬ জনকে ধর্ষণ, ৮১টি বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে।
এ মামলায় প্রসিকিউশনের ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচ জনই একাত্তরে আসামিদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিন জন ধর্ষণের শিকার। আর সাক্ষী বারীন্দ্র মালাকার ও সুবোধ মালাকার সরাসরি আসামিদের নির্যাতনের শিকার। তারা দুজনই সে সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই রাজনগরের পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে আকমল আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত এই উপাধ্যক্ষকে পরে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ’১৬ সালের ২৩ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর গত বছরের ৭ মে অভিযোগ গঠন হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়