শিরোনাম
◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৫৮ সকাল
আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘প্রধানমন্ত্রী অলরেডি হাইকোর্টের রায় অবমাননা করে ফেলেছেন’

জান্নাতুল ফেরদৌসী: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের চিলড্রেনদের তার মানে তো নাতিপুতি নয়। প্রধানমন্ত্রী যদি হাইকোর্টের রায় এতোই মানেন তাহলে নাতিপুতি কোটা কিভাবে করলেন। এটাও তো আদালত অবমাননা হয়ে গেলো। হাইকোর্টের রায়ে একথা বলা হয়েছে যে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তান। এটা থাকা অবস্থায় আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যখন মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতির কোটা করেন। তাহলে আপনি অলরেডি হাইকোর্টের রায় অবমাননা করে ফেলেছেন।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই এর তৃতীয় মাত্রা অনুষ্ঠানে কোটা নিয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আদালতের যে অবমাননার কথা বলেছেন আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীকে ভুল ইন্টারপিটিশন দেয়া হয়েছে। যেকোন মন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্য দেয়া হোক না কেন। এই ব্যাপারে হাইকোর্টে যে মামলা ছিল, সেই মামলা ২০১২ সালে ২৩৫ নাম্বার মামলা। এটার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল করা হয়। এটা ২০৬২ নাম্বার ছিল, ২০১৩ সালে করা হয়। এই পুরো মামলায় বিষয় ছিলো মুক্তিযোদ্ধা কোটার যে ৩০ শতাংশ রয়েছে। ৩০ শতাংশ যদি মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী পাওয়া না গেলে, মেধা কোটা থেকে পূরণ করা যাবে কি যাবে না। সেখানে আদালত রায় দিয়েছে। হাইকোর্ট বলছে না ৩০ শতাংশ যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রয়েছে সেখানে যদি অন্য পাওয়া নাও যায় খালি রাখতে হবে। আপিলের ডিভিশন বলছে, না খালি রাখতে হবে না। যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটা না পাওয়া যায় তাহলে মেধা তালিকা থেকে নিতে হবে।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, এখানে বিচার্য বিষয় এটা ছিল না যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা যৌক্তিক না অযৌক্তিক। কোটা সংস্কার করা যাবে কি যাবে না। সেই বিষয় বিচার্য ছিল না। অবজারভেশনে ছিল ৩০ শতাংশ কোটার প্রার্থী যদি না পাওয়া যায়। সেটা মেধা কোটা থেকে পূরণ করা হবে কি হবে না।

তিনি আরো বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আশা করেছিলাম উনি বলবেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের পক্ষথেকে একটি রায়ের কথা বলা হয়েছে। আমরা সহনশীলভাবে অপেক্ষা করি এবং কমিটির কাছে বলি। দরকার হলে বড় বড় ল’ এক্সপার্টদের সাথে কথা বলি। এ ব্যাপারে একটি সমাধান নিয়ে আসুক তখন আমরা দেখবো। উনি এই রায়কে নিয়ে যেভাবে বলেছেন তাতে আমি খুবই বিস্মিত হয়েছি।

তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো আপনি এই দুটো রায় নিয়ে ব্যারিস্টার রফিকুল হকের কাছ থেকে নিজের মুখে শুনুন। এই রায়ের মানে এটা নাকি মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কার করা যাবে না, অন্যান্য কোটা সংস্কার করা যাবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়