রাশিদ রিয়াজ : কিছু সুনির্দিষ্ট দেশ ইরানের তেলের ঘাটতি পূরণ করে দেবে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে আশা করেছেন তাকে ‘ভুল’ উল্লেখ করে তেহরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওইসব দেশের পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছেন। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংস্থা- ওপেকে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি হোসেইন কাজেমপুর ব্লুুমবার্গকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ইরানের তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। কাজেমপুর আরো বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানের তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হলে শেষ পর্যন্ত তাতে বিশ্ব অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ ইরানের তেলের ঘাটতি পূরণ করার সামর্থ অবশিষ্ট তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর নেই।
কাজেমপুর বলেন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও রাশিয়া দিনে ইরানের আড়াই লাখ ব্যারেল তেলের ঘাটতি পূরণ করবে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে আশা করছে তা ‘ভুল হিসাব’। মিস্টার ট্রাম্প: আপনি তাদের পাতানো ফাঁদে পড়েছেন এবং এর ফলে তেলের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে।
এদিকে রয়টার্স বিশেষজ্ঞদের মতামত উল্লেখ করে বলেছে, সৌদি আরবের পক্ষে দিনে আড়াই লাখ ব্যারেল তেলের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব নয়। যদি রিয়াদ সে সিদ্ধান্ত নিয়ে অতিরিক্ত তেল উত্তোলন শুরু করে তাহলেও দেশটি দীর্ঘ মেয়াদে তা অব্যাহত রাখতে পারবে না।
আপনার মতামত লিখুন :