সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল : আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসন আমলে মানুষের জীবন পদে পদে বাধাগ্রস্ত। কার জীবন কখন নিয়ে যাবে, কোন মেয়ের উজ্জত কখন হারাবে, কোন মায়ের বুক কখন খালি হবে? এটা আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কেউ জানে না। কারণ, এটি তাদের এক চেটিয়া অধিকার হয়ে গেছে। এখানে কথা বলতে বাধা দেওয়া খুবই সামান্য ব্যাপার। শনিবারের সমাবেশে বাধাতো আছেই। এর সপ্তাহ খানেক আগে শহীদ মিনারে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযুদ্ধারা মিলিত হয়েছেন। তার মধ্যে ড. জাফরুল্লাহ খান সহ আরো কিছু অধ্যাপক ও জাতীয় বরেণ্য ব্যক্তি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসিসহ আরো অনেকে ছিলেন।
পুলিশ সেখান থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তাদেরকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কথা বলতে দেয়নি।
আর ১০ বছরের গুমের সংখ্যা ৫০০ শতাধিক এবং খুন ১৫ হাজারের উপরে, মামলা আছে বিএনপির বিরুদ্ধে ৭৯ হাজার। আসামীর সংখ্যা বেগম খাদেলা জিয়াসহ ১৮ লক্ষাধিক। বেগম খালেদা জিয়াকে বলা হয় এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী। এতো বড় একটি মিথ্যা যা বর্তমান সরকার সব সময় বলে বেড়াচ্ছে। অথচ দুদকের করা মামলা প্রমাণিত হয়নি।
উনাকে সাজা দিয়েছে ৫০৯ ধারা দন্ডবিধি। প্রতিবাদের ভাষা অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। সাংবাদিকরা সরকারকে ভয় পাচ্ছে। দেশে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে সরকার। সুতরাং কথা বলার একমাত্র অধিকার আছে আওয়ামী লীগের, অন্য কাউকে কথা বলতে দিবে না। বাংলাদেশে এক সময়ে একটা কোম্পানি সাবান (এরোমেটিক) বের করে তারা প্রচারণা চালিয়েছে যে, তাদের সাবান হালাল।
তাহলে বাজারের বাকি সব সাবানই কি হারাম? বাংলাদেশে দশ বছরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রকে খুব খারাপভাবে প্রমাণ করেছে। সাবানের ন্যায় আওয়মী লীগ হচ্ছে একমাত্র হালাল রাজনৈতিক দল, বাকিরা সবই তাদের দৃষ্টিতে হারাম।
এর থেকে আমাদের বের হতে হবে। তার জন্য আমরা এবার শেষ লড়াই করবো, দেশের জনগণকে নিয়ে। কারণ, দেশের জনগণ তাদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে চায়। আমাদের লড়াই হবে ফ্যাসিবাদ এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে। এই স্বৈরাচারের পতনের সময় দিনÑক্ষন দিয়ে হয় না। এটি যে কোনো মূহুর্তেই হতে পারে। তার উদাহরণ আমাদের দেশেই আছে। এরশাদের পতন সবারই মনে আছে। তার পতনের আগের দিনেও সে উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত ছিলো।
পরিচিতি : যুগ্ম মহাসচিব, বিএনপি/মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/ সম্পাদনা : ফাহিম আহমদ বিজয়
আপনার মতামত লিখুন :