শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ০৬:২৫ সকাল
আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ০৬:২৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্বহীনদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি

জিয়া হাসান: সেই দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শোনার জন্য টিভি খুলেছিলাম। আমার মনে হয়, এটা এই সংসদের গুরুত্বপূর্ণ একটা আলোচনা ছিল, যেটা আমি দেখেছিলাম। তীব্র আন্দোলনের মুখে কোটা বাতিল হওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কী ঘোষণা দেবেন, সেটা নিয়ে সকলেই উন্মুখ ছিল এবং তার আগে কোন আন্দোলন নয়। আর এটা ছিল আওয়ামী লীগের নেতাদের পূর্বের বেশকিছু সপ্তাহের মূল যুক্তি। প্রধানমন্ত্রীর সংসদে সেই ঘোষণার পরে, ছাত্রলীগ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বিজয় মিছিল করে। কোটা আন্দোলনের ছেলেরা পরের দিন ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনের সমাপ্তি ঘোষণা করে। কারণ তাদের বিশ্বাস ছিল, সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্যে পবিত্রতা ও দায়িত্ব আছে এবং সত্য কথা বলার শপথ নিয়েই সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা কথা বলা যায় না। কিন্তু আজকে সেই একই সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল সম্ভব নয়। বাস্তবতা হচ্ছে, ছেলেরা কখনো কোটা বাতিল চায়নি, তারা সংস্কার চেয়েছে। কিন্তু সংসদে দাঁড়িয়ে পুরো জাতির কাছে, একটি প্রতারণামূলক ঘোষণা দিয়ে পরে সেই ঘোষণা থেকে বেরিয়ে আসাটা প্রমাণ করে যে, প্রকৃতপক্ষে এটা একটা অনৈতিক অনির্বাচিত সংসদ। ফলে এই সংসদকে, এই সংবিধানকে রক্ষা করার অজুহাতে যে দাবিগুলো আওয়ামী লীগ নিয়মিত করে যায়, তার কোন ভিত্তি জনগণের কাছে নাই। কারণ এই সংসদ শুধুমাত্র অনির্বাচিত কিছু মাফিয়া শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে না। এদের কাছে এই সংসদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সম্মান, দায়িত্ব, প্রতিশ্রুতি, শপথ কোন কিছুর প্রতি এদের কোন দায় নাই। এদের একমাত্র বিবেচনা হচ্ছে, ক্ষমতা ধরে রাখা। হাই কোর্টের রায় থাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা সম্ভব নয় বলেও যে তিনি মন্তব্য করেন, সেটা আরেকটি ভয়ংকর প্রতারণা। প্রধান বিচারপতিকে মামলা দিয়ে, হামলা করে, অপমান করে, ব্ল্যাকমেইল করে প্লেইনে তুলে দিতে পারে যে সরকার, সে সরকার ঠিক তখনই হাই কোর্টের রায়ের অজুহাত দেয়। যখনই তার নিজের মিথ্যাচারের দায় অন্যের উপরে চাপাতে হয়। আমি বলবো, প্রবলেমটা আমাদের। আমরা তাদের প্রতিটা কথায়, যুক্তিতে নাচি এবং তার কাউন্টার তুলে ধরি। রিয়্যালিটি হচ্ছে, আমরা একটা মিথাচারি, মাফিয়া, জনগণের প্রতিনিধিত্বহীনদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তাদের একমাত্র যুক্তি, ক্ষমতা। সে যে কোন ধরনের মিথ্যাচার করে পার পেয়ে অভ্যস্ত। তাদের হাই কোর্ট, সংবিধান, আইন কোন যুক্তিকে কোন কাউন্টার দেয়ার প্রয়োজন আমাদের নাই। আমাদের জাস্ট বলতে হবে, এই ধরনের মিথ্যাচারী সরকারের এই দেশের রাষ্ট্র চালানোর নৈতিক অধিকার নাই।
পরিচিতি : সাংবাদিক ও কলামিস্ট/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/ সম্পাদনা : জাফরুল আলম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়