শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ০২:২০ রাত
আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ০২:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাল নিয়ে চালবাজি চলছে, ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী: গত বছর আকর্ষিক অতিবৃষ্টি, বন্যা ও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশে ফসলহানি ঘটেছে ব্যাপকভাবে। কৃষকের ফসল মাঠেই ডুবে গেছে। দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রায় সবকটি জেলা এবং সিলেটের হাওরাঞ্চল ডুবে যাওয়ার করুণ দৃশ্য সবাইকে ব্যথিত করেছে। গেল বছর ছিল কৃষকের পাকা ফসল ডুবে যাওয়ার বছর। এর মানে হচ্ছে দেশের খাদ্য ঘাটতির বছর। সেই পরিস্থিতিতে দেশের খাদ্য সরবরাহ ঠিক রাখতে সরকারকে প্রতিবেশী ভারত, মিয়ানমার ও ভিয়েতনামসহ কয়েকটি দেশ থেকে চাল আমদানির সুযোগ সৃষ্টি করতে হয়েছিল। তারপরও ব্যবসায়িরা চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়েছিলেন।

সরকার ভারত থেকে চাল আমদানির ২৮ শতাংশ কর কমিয়ে ২ শতাংশ করার প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। সেটি গত ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল ছিল। অর্থমন্ত্রী নতুন অর্থবছরের বাজেটে তা প্রত্যাহার করে আগের নিয়ম বহাল করার প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের আমদানি কারকেরা চাল আমদানি বন্ধ করে দেন। তারা গেল বছরের আদেশ বহালের দাবি করতে থাকেন। অথচ এ বছর দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদিত হয়েছে। ভারতেও ধান উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ধানের ক্রয়মূল্য গেল বছরের চেয়ে অনেকটা কমে গেছে। আমদানি কারকেরা এ ক্ষেত্রে দুইভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে মোটেও দ্বিধা করেননি।

গেল বছর ভারতের ব্যবসায়িরা নানা কারণে বাড়িয়ে দেওয়ায় সরকার-আমদানি কারকসহ ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষা করেই ২৬ শতাংশ কর কমিয়ে দিয়েছিল। তাতেও ব্যবসায়িরা কম লাভ করেছেন এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। এ বছর ভারত থেকে আমদানিমূল্য উল্লেখ করার মতো কমে গেছে, দেশের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত চাল উৎপাদন হয়েছে, সেখানে ২ শতাংশ শুল্ক সুবিধা বহাল রাখার অর্থ হচ্ছে দেশের কৃষক ও ভোক্তাদের নিঃস্ব করা, কতিপয় চাল আমদানিকারককে আরও ধনী করার অবাধ সুযোগ করে দেওয়া।

সরকার সব বিবেচনাতেই সঠিক কাজটি করেছে। অথচ আমদানি কারকেরা আমদানি বন্ধ করে দিলেন। একইসঙ্গে চাতাল, ফড়িয়ারাও যার যার অবস্থানে থেকে চাল ধরে রাখার ফন্দিফিকির জোরদার করেই চলেছে। ফলে চালের আচরণ অস্বাভাকি আচরণ করছে। প্রকৃত কৃষকেরা তাতে খুব বেশি লাভবান হচ্ছেন না; ভোক্তারা তো কোনোভাবেই লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই। কেজি প্রতি ৪-৬ টাকা চালের দাম বেড়ে যাওয়ার অর্থ দাঁড়ায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বড় আমদানিকারণ, চাতাল মালিক, গুদামজাতকারী, ডিলার এবং বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা সবাই যার যার অবস্থানে সিন্ডিকেট করেই চলছে। একে অন্যের দিকে আঙুল তুলে সাধু সাজার চেষ্টা করছে।

সরকারের হাতে আমদানিকারকদের আমদানিমূল্য, শুল্ক খরচ, খুচরা বাজার পর্যন্ত আমদানিকৃত চালের প্রকৃত মূল্য, দেশের কৃষক ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত বদলের খরচের পর বাজার মূল্য কত হতে পারে তা হিসাব করে কোন চালের বাজার দর কী হওয়া উচিত, যা যাচাই-বাছাই করে দর নির্ধারণ ও পরীক্ষণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের বছর চাল নিয়ে চালবাজির করার পেছনে অনেক বাজিগরের উদ্দেশ্য সাধনের ভূমিকাও থাকতে পারে। বাজিগর
লেখক : অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, বাউবি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়