শিরোনাম
◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ১০:৫৩ দুপুর
আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০১৮, ১০:৫৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিয়োগে আর কত বিলম্ব

ডেস্ক রিপোর্ট : চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও ৩৬তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্তদের গেজেট হয়নি। তা ছাড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করতে এ পর্যন্ত পেরিয়ে গেছে প্রায় ৩৯ মাস। নিকট অতীতের অন্য কোনো বিসিএসে এত দীর্ঘ সময় লাগেনি। নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ প্রার্থীরা দ্রুত গেজেট প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।

২০১৫ সালের ৩১ মে দুই হাজার ১৮০টি পদের জন্য ৩৬তম বিসিএসের প্রজ্ঞাপন জারি করে বিপিএসসি।

এরপর প্রাক-বাছাই, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে গত ১৭ অক্টোবর চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে পিএসসি। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য গত ৯ নভেম্বর পিএসসি সুপারিশ পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। এতে দুই হাজার ৩২৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। দীর্ঘ এ প্রক্রিয়ায় ৩৯ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও এখনও নিয়োগের গেজেট প্রকাশ করতে পারেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

নিকট অতীতের অন্য কোনো বিসিএসের নিয়োগে এত দীর্ঘ সময় লাগেনি। পূর্ববর্তী বিসিএসগুলোর সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, ২৮তম বিসিএসে ৩১ মাস, ২৯তম বিসিএসে ৩০ মাস, ৩০তম (বিশেষ) বিসিএসে ২৬ মাস, ৩১তম বিসিএসে ২৩ মাস, ৩২তম (বিশেষ) বিসিএসে ১৪ মাস, ৩৩তম বিসিএসে ২৯ মাস, ৩৪তম বিসিএসে ৪০ মাস (হাইকোর্টে রিটের ফলে স্থগিতাদেশ থাকায় প্রায় এক বছর সব কার্যক্রম স্থগিত ছিল) ও ৩৫তম বিসিএসে ৩৩ মাস সময় লাগে। আর ৩৬তম বিসিএসে ৩৮ মাস পেরিয়ে গেছে।

এদিকে, পর্যাপ্ত ক্যাডার পদ না থাকায় ৩৬তম বিসিএসের তিন হাজার ৩০৮ জনকে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগে সুপারিশের জন্য উত্তীর্ণের তালিকায় রাখা হয়। ক্যাডারে নিয়োগের গেজেট না হলেও নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। এরই মধ্যে সমাজসেবা অফিসার পদে যারা নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছিলেন, তারা গত ২১ মে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশকৃতদের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন হয় ৩ জুলাই এবং তাদের ৫ আগস্টের মধ্যে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

গেজেটের অপেক্ষায় থাকা একাধিক প্রার্থী  তাদের ক্ষোভ ও হতাশার কথা জানিয়েছেন। নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত এক প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নন-ক্যাডারের ফল অনেক পরে হলেও তাদের অনেকে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। একই বিসিএসের মাধ্যমে সুপারিশকৃত ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রজ্ঞাপন হওয়ার আগেই নন-ক্যাডারদের নিয়োগ ও যোগদান এবং পরবর্তী ব্যাচের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ নজিরবিহীন। অবিলম্বে গেজেট প্রকাশ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

সুপারিশপ্রাপ্তরা জানান, পিএসসি বর্তমানে দ্রুত সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘসূত্রতার কারণে প্রতিটি বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি থেকে নিয়োগ পর্যন্ত তিন থেকে চার বছর লেগে যাচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন দিতে দুই মাসের বেশি সময় কোনোভাবেই লাগার কথা নয়। অথচ প্রায় নয় মাসেও তা হচ্ছে না।

জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, তিনি নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন। এ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সূত্র : সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়