আরিফা সুলতানা রুমা : সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকায় ধানের শীষের কর্মীদের মারধর করে পুলিশে সোপর্দের অভিযোগে প্রায় ৩০ মিনিট রাস্তায় অনশন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অনশন করেন আরিফুল। আটক কর্মীরা ছাড়া পাওয়ার পর আরিফুল অনশন ভেঙে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান।
মধ্যরাতে মেয়র প্রার্থীর অনশনের খবরে নগরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। খবর পেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীসহ নগরের সাধারণ মানুষও সেখানে জড়ো হন। পুলিশের কাছ কর্মীদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আরিফুল বলেন, ‘আমি শুরু থেকে বলে আসছি যে, আমার কর্মীদের অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। এটি তেমনই ঘটনা।’ সে সময় তিনি দুই কর্মীকে পেটানো ছাত্রলীগ কর্মী ও জড়িত পুলিশ সদস্যের শাস্তি দাবি করেন।
রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, বুধবার রাত ১২টায় নগরের বন্দরবাজার হাসান মার্কেট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের জন্য আরিফুল হক চৌধুরীর পোস্টার সাঁটানোর কাজ করছিলেন দুজন কর্মী। এ সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন এসে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে পুলিশ এসে লোকমান আহমদ নামের একজনকে আটক করে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
লোকমানের সঙ্গে পোস্টার সাঁটানোর কাজ করছিলেন আরেক কর্মী কেরামত আলী। তিনি জানান, হাসান মার্কেটের সামনে তাঁরা দুজন আরিফুল হক চৌধুরীর পোস্টার সাঁটানোর কাজ করছিলেন। এ সময় তিনজন যুবক ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁরা বিষয়টি অস্বীকার করলে বাগ্-ার সৃষ্টি হয়। এ সময় ছাত্রলীগের ওই তিনজন লোকমানকে মারধর করে পাশের বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশে নিয়ে গেলে পুলিশ লোকমানকে আটক করে। সেখান কেরামত ঘটনাটি মেয়র আরিফুল হককে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন এবং বন্দাবারজার ফাঁড়ির সামনে চেয়ার নিয়ে অনশন শুরু করেন। এ অবস্থায় পুলিশ ২০ মিনিট পরই আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়। তখন আরিফুল ওই কর্মীসহ কেরামতকে নিজের গাড়িতে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যান। আরিফুল জানান, দুই কর্মীকে ছাত্রলীগ ও পুলিশ মারধর করেছে।..!
পরিচিতি: কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদল/ সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :