আশিক রহমান : যারা একটি বিশেষ দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না বলে সোচ্চার তাদের বক্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মৌল মাপকাঠি হলো জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে কিনা, সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরেছেন কিনা, পছন্দমতো তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পেরেছেন কিনা। এই মাপকাঠিতে এখানে জনগণের অংশগ্রহণ বড় কথা, দলের অংশগ্রহণ গৌণ। ইতিহাস তাই বলে। সেজন্য যারা একটি বিশেষ দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না বলে সোচ্চার তাদের বক্তব্য উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং গণতন্ত্রের প্রথাসিদ্ধ রীতি ও পদ্ধতির পরিপন্থী।
তিনি আরও বলেন, দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও বিদেশি সংস্থাসমূহ বাংলাদেশের আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে জোরেসোরে একটি বিষয়কে সামনে নিয়ে এসেছে; সেটি হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পর্কিত। মূলত তারা এ দাবিটি উত্থাপন করেছে বাংলাদেশের একটি বিশেষ দলের প্রতি সহমর্মি হয়ে। এখানে প্রশ্ন উঠেছেÑ সকল রাজনৈতিক দলের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অর্থই হলো অংশগ্রহমূলক নির্বাচন। প্রশ্নটি এখানেই। নিকট অতীতকে যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখতে পাব সব দলের অংশগ্রহণের অর্থই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে বোঝায় না।
এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, ১৯৭০ সালে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম বৃহত্তম দল ছিল মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বা ন্যাপ ভাসানী। ৭০ সালের নির্বাচনে এই বৃহত দলটি অংশগ্রহণ করেনি, বরং সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা নির্বাচন বর্জন করেছিল। তাদের নির্বাচন বর্জন করার কারণে সত্তরের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়নি এ কথা কেউ বলে না বা ইতিহাসও তা অনুমোদন করে না।
আপনার মতামত লিখুন :