কান্তা আইচ রায় : ঢাকায় উদ্ভোধন হলো ভারতের সবচেয়ে বড় ভিসা সেন্টার।এই ভিসা সেন্টার উদ্ভোধন করেন দুদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, এটি বিশ্বে তাদের সবচেয়ে বড় ভিসা সেন্টার। ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে ভারত তাদের এই বিশাল ভিসা সেন্টারটি চালু করে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ভারতের পর্যটক এর তালিকায় বিশ্বের যে কোন দেশের থেকে পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশিরা অনেক এগিয়ে।
নতুন এই ভিসা সেন্টারটি দেখতে পাঁচতারা হোটেলের লবির মতো। এখানে রয়েছে ৪৮ টি কাউন্টার, চা কফির জন্য ভেন্ডিং মেশিন, হালকা খাবারের স্টল, বয়স্ক ও নারীদের জন্য আলাদা কাউন্টার, এয়ার কন্ডিশনিং ওয়েটিং রুম।
কিন্তু ভারতের এমন উদ্যোগের কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, দিনদিন বেড়ে চলছে বাংলাদেশিদের ভারত সফর । ভারতের পর্যটক এর তালিকায় বিশ্বের যে কোন দেশের থেকে পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশিরা অনেক এগিয়ে । তাই তারা চাপ কুলিয়ে উঠতে না পারায় এবং বাংলাদেশিদের দূর্ভোগ লাঘব করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রনালয়ের তথ্যানুযায়ী, ভারতে পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশ ১৫ লাখেরও বেশি ভারতীয় ভিসা ইস্যু হয়েছে। মেডিকেল টুরিজম থেকে ভারতের আয় হওয়া একটা বড় অংশ আসে বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে আসা পর্যটকদের থেকে।
মনোরম পরিবেশে এখন কিছুটা হলেও দূর্ভোগ লাঘব হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশি এক পর্যটক। দীর্ঘদিন ভারতে চিকিৎসা নিয়ে আসছেন বলেও জানান তিনি।তিনি বিভিন্ন দূর্ভোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, নতুন এই ভিসা সেন্টার হওয়ায় এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করেন।
বাংলাদেশিদের ভারতে পর্যটক হিসেবে যাওয়ার জন্য আরো নানা সুযোগ সৃষ্টি এবং নানা অফারের কথাও ভাবছে ভারত। সেই লক্ষ্যে বর্তমানে পাঁচ বছর পর্যন্তও ভিসা দিচ্ছে ভারত। এই সকল ব্যবস্থার মূল কারণ ভারতে গিয়ে বাংলাদেশিরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, ২০১৭ সালে ভারতে যাওয়ার জন্যে ৬০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যা আগের যে কোন বছরের থেকে বেশি। সূত্র: বিবিসি বাংলা
আপনার মতামত লিখুন :