ওমর শাহ: কাতারে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া প্রিন্স শেখ রশিদ বিন হামাদ আল-শারকি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসকদের মধ্যকার বিভিন্ন বিরোধ ও অভ্যন্তরীণ কর্মকা- নিয়ে মুখ খুলেছেন। কাতারি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেছেন, আমিরাতি শাসকেরা ব্ল্যাকমেইল ও অর্থ পাচার করছে। যদিও এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি। সূত্র: আল জাজিরা
কাতারে প্রিন্স রশিদের আশ্রয় নেয়া মুখ খোলার ঘটনায় উপসাগরীয় সঙ্কট আরো জটিলতর হয়ে উঠছে। ৩১ বছরের প্রিন্স শেখ রশিদ আরব আমিরাতের অপেক্ষাকৃত ছোট ও কম বিত্তশালী রাজতন্ত্র ফুজাইরার আমিরের দ্বিতীয় ছেলে। কাতারে আশ্রয় নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ফুজাইরা সরকারের মিডিয়া দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। ১৬ মে ভোরে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে দোহা বিমানবন্দরে অবতরণ করে রাজনৈতিক আশ্রয় চান।
কাতারি কর্মকর্তাদের প্রিন্স রশিদ জানান, আবুধাবির শাসকদের সাথে বিরোধের কারণে তিনি জীবনের ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন। শেখ রশিদ ও কাতারি এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওয়াশিংটনে অবস্থিত আমিরাতি দূতাবাসের একজন প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ফুজাইরার শাসকদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
প্রিন্স রশিদের কাতারে আশ্রয় নেয়ার ঘটনাটি আরব আমিরাতের গত ৪৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটল। এই প্রথম আমিরাতের সাতটি রাজপরিবারের শাসকদের বিরুদ্ধে রাজ পরিবারের সদস্যই মুখ খুললেন।
আপনার মতামত লিখুন :