শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৫ জুলাই, ২০১৮, ১১:৫৪ দুপুর
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০১৮, ১১:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোটা নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, বৃটেনে বসবাসরত বাংলাদেশি ছাত্রদের প্রতিবাদ

সাইদুল ইসলাম,যুক্তরাজ্য : বৃটেনে বসবাসরত বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত সলিডারিটি ফর কোটা মুভমেন্ট ইউকে’র আহবায়ক ঢাবি’র সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল কাদির সালেহ, যুগ্ম আহবায়ক ঢাবি’র সাবেক সিনেট সদস্য নসরুল্লাহ খান জুনায়েদ ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শামসুল আলম লিটন’সহ সাপোর্ট গ্রুপের নেতৃবৃন্দ লন্ডন থেকে আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, কোটা আন্দোলন সম্পর্কে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চরম হতাশাজনক ও উস্কানিমুলক। তার এই বক্তব্য শুধু অপ্রাসংগিক ও অবান্তরই নয়, চরম বিভ্রান্তিমুলক।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের রাষ্ট্র প্রদত্ত স্বল্প বেতনে লেখাপড়ার সুযোগকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী রুচিহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। শিক্ষা-স্বাস্থ্য- চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংবিধান প্রদত্ত এই মৌলিক অধিকারকে নিয়ে কটাক্ষ করার কোন সুযোগ নেই। এই অনধিকার চর্চার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী’র পদকে অপমান করা হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট এই প্রধানমন্ত্রীকে ‘রং হেডেড’ বিশেষণে অভিহিত করেছিলেন, সংসদে এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি তার যথার্থতাই প্রমাণ করলেন। একদিকে তিনি ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ উপাধি নিয়ে বাহবা নিচ্ছেন, অন্যদিকে পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে ছাত্রীদের উপর বর্বরোচিত হামলা ও হাতুড়ী দিয়ে নির্দয় নির্যাতন চালিয়ে পাক বাহিনীর বর্বরতার রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। সেকারণে তাঁকে এখন থেকে ‘মাদার অব ব্রুটালিটি’ বলাই মানানসই ও যুক্তিযুক্ত।

একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে তথ্য প্রমাণ ছাড়াই কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের যে কথা বলেছেন তাতে সকলেই স্তম্ভিত। বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে কথিত এই রায় প্রকাশের দাবী জানানো হয়। এছাড়া ১৫ টাকার সীট আর ৩৮ টাকার খাবারের কথা বলে যে চরম হীনমন্যতার পরিচয় দিয়েছেন, তা নজিরবিহীন। তার তুলনায় ছাত্র ছাত্রীদের বক্তব্য ও আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ , যৌক্তিক ও শিক্ষনীয় । আন্দোলনরারীরা প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে কোটা বাতিল নয় সংস্স্কারের দাবী জানিয়ে আসছে । কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাড়িয়ে কোটা বাতিলের সুষ্পষ্ট ঘোষণা দিলেন, আর ঠিক তার তিন মাস পর সম্পূর্ণ বিপরীত বক্তব্য দিয়ে আন্দোলনকারীসহ সকলকে বিভ্রান্ত ও চরম উস্কানীমূলক পরিস্থিতি তৈরী করেছেন। পরিস্থিতি এমনই উদ্বেগজনক যে কথিত এই সংসদে একজন সাংসদও নেই, যিনি ছাত্রসমাজের এই সর্বজনীন দাবীর পক্ষে অন্তত: একটি কথা বলতে পারেন। দেউলিয়াত্ব ও চাটুকারীতা কোন পর্যায়ে গেলে এমন হতে পারে এবং জনগনের টাকায় চলা এই সংসদ আসলে কাকে প্রতিনিধিত্ব করছে , তা একদিন জাতির কাছে অবশ্যই জবাব দিতে হবে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রদের প্রতিনিধি সমম্বয়ে গঠিত এই সাপোর্ট গ্রুপের বিবৃতিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের উপর সরকার দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় । বিবৃতিতে আহত ছাত্র ছাত্রীদের সুচিকিৎসা এবং গ্রেফতারকৃতদের নি:শর্ত মুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন, ঢাবি’র রশায়ন বিভাগের সাবেক ছাত্র ও শিক্ষক ড. কে এম এ মালিক ও ড. এম হাসনাত হোসাইন (সাপোর্ট গ্রুপের উপদেষ্টা), বুয়েটের সাবেক ভিপি ইন্জিয়ার ব্যারিষ্টার তারিক বিন আজিজ, সাবেক শাকসু ভিপি কামরুল ইসলাম কাবেরি, সাবেক জিএস নুরুজ্জামান জামান, তারেক এ চৌধুরী ও আখলাকুর রহমান, ঢাবি’র সাবেক ছাত্রনেতা মির্জা আসহাব বেগ, ডক্টর মো: মোস্তাফিজুর রহমান হারুন,মো. শাহ আলম ও ডক্টর সিরাজুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম কলেজের ড. এম এ আজিজ, জাবি’র সাবেক ছাত্রনেতা জোবায়ের বাবু, পারভেজ মল্লিক ও আখতার মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা তারেক রানা, জাকারিয়া বাবু , মোহাম্মদ কামরুল , ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডা:জাকিউল ইসলাম সুমন , তিতুমীর কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা মেসবাউল ইসলাম বাবু, মে: ইফতেখার হাসানুজ্জামান, মো: মোনিরুজ্জামান মানিক, এম এ হক (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), রফিক আহমেদ, মো: নূর বক্স, মো: আনিসুল হক, বদরুল ইসলাম, ইব্রাহিম মিয়া, ফয়সল আহমেদ, এডভোকেট গোলাম জাকারিয়া, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শামীম আহমেদ, শফিক খান (সিলেট এম সি কলেজ), মো: মাসুদ রানা, মাইনুদ্দিন আহমেদ, মো: মাহবুবুর রহমান (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ), এমএ আরেফিন আশরাফ, রাজ হাসান ও কামরুল হাসান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়