নূর মাজিদ: বাণিজ্য যুদ্ধে যখন বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য শুল্কারোপে ব্যস্ত ঠিক তখনই এমন পরিস্থিতিকে নিজেদের অর্থনীতির জন্য সেরা সুযোগ বলে ভাবছে ভারত। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের যে সমস্ত পণ্যে চীন পাল্টা শুল্ক দিয়েছে সেগুলোর বিকল্প উৎস থেকে আমদানি তারা অবশ্যই বৃদ্ধি করবে।এই সুযোগে ভারত চায় এখন চীনে মার্কিন পণ্যের পরিবর্তে নিজেদের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে। বর্তমানে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের প্রেক্ষিতে নিজেদের দেশে আমদানিকৃত ৮০০ টি মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে। এছাড়াও চীন আরো মার্কিন পণ্যের ওপর এমন শুল্কারোপ করা হবে বলেও জানিয়েছে।
চীন যে সমস্ত মার্কিন পণ্যে শুল্কারোপ করেছে তার মধ্যে অধিকাংশই খাদ্য সামগ্রী ও কৃষিজাত পণ্য। ভারত খুব সহজেই চীনের জন্য এই সমস্ত পণ্যের বিকল্প সরবরাহকারী হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। এর আগে জুন মাসে চীন ভারত, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়ার মতো এশিয়ার দেশগুলো থেকে আমদানিকৃত পশুখাদ্যে আমদানি শুল্ক তুলে নিয়েছিলো। ভারতীয় বাণিজ্য কতৃপক্ষের আশা অচিরেই অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ক্ষেত্রেও শুল্ক বাঁধা দূর করবে চীন। শনিবার ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়য়ের একটি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক দৈনিক বিজনেস লাইন জানায়, মন্ত্রণালয়টি ইতোমধ্যেই মার্কিন পণ্যের পরিবর্তে যে সমস্ত ভারতীয় পণ্য চীনে রপ্তানি করা সম্ভব তার একটি তালিকা তৈরি করেছে। চীনের বাজারে মার্কিন কৃষিপণ্যের পরিবর্তে নিজেদের পণ্য রপ্তানি করবার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই তারা সংশ্লিষ্টখাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও কৃষক পর্যায়ে এই সমস্ত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করবার লক্ষ্যে তারা কৃষি মন্ত্রণালয়য়ের কাছেও আবেদন করেছে।
এদিকে মার্কিন পণ্যের পরিবর্তে ভারতীয় পন্যকে নিজেদের বাজারে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়াকে তাদের একটি সৎ উদ্দেশ্য হিসেবেই দেখছেন ভারতের বাণিজ্য কর্মকর্তারা। ্তারা মনে করছেন, চীনের উহানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তার বাস্তবায়ন করছে চীন। ঐ বৈঠকে ভারত-চীন আগামী দশকের মধ্যেই তাদের পারস্পরিক বাণিজ্যের মাত্রা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলো। বিজনেস লাইন
আপনার মতামত লিখুন :