আমিন মুনশি: কোন ধরণের বিপদ-মুসিবত আসলে ঈমানদার তাতে ভেঙ্গে পড়বেনা। হতাশ হবে না; ধৈর্য্য অবলম্বন করে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে। ধৈর্য্যধারণ বিষয়ে হাদিস এসেছে-
আবু মালিক হারেস ইবনে আসেম আল-আশরাফী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল সা. বলেছেনঃ “পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। আর ‘আলহামদুলিল্লাহ’ আমলের পাল্লাকে পূর্ণ করে দেয়। সুবহানাল্লাহ ও আল-হামদুলিল্লাহ উভয়ে আকাশ সমুহ ও পৃথিবীর নিকটবর্তী স্থান পূর্ণ করে দেয়। নামাজ হল জ্যোতি। দান-সদকা হল প্রমাণ। সবর-ধৈর্য হচ্ছে আলো। আল কোরআন তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে প্রমাণ হবে। প্রত্যেক মানুষ সকালে উঠে নিজেকে বিক্রি করে দেয়। এরপর সে নিজেকে মুক্ত করে অথবা ধ্বংস করে।” (মুসলিম শরিফ)
আবু ইয়াহইয়া সুহাইব বিন সিনান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুল সা. বলেছেন- “ঈমানদারের বিষয় নিয়ে আমি খুব আশ্চর্যবোধ করি। তার সকল কাজেই রয়েছে কল্যাণ। ঈমানদার ছাড়া অন্য কোন মানুষের এই সৌভাগ্য নেই। তার যদি আনন্দ বা সুখকর কোন বিষয় অর্জিত হয়, তাহলে সে আল্লাহর শোকর করবে। ফলে তার কল্যাণ হবে। আর যদি তাকে কোন বিপদ-মুসিবত স্পর্শ করে, তাহলে সে ধৈর্য্যধারণ করবে। এতেও অর্জিত হবে তার কল্যাণ।” (মুসলিম শরিফ)
হাদিসদ্বয় থেকে শিক্ষাঃ
পবিত্রতা মানুষের বাহ্যিক দিক। অন্তরের বিশ্বাস হল অপ্রকাশ্য বা পরোক্ষ বিষয়। বাহ্যিক ও অপ্রকাশ্য দুটো বিষয় নিয়েই ঈমান। সে হিসাবে পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধাংশ।
তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ) ও তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) এর ফজিলত। আমলের পাল্লায় রয়েছে এর ফজিলত।
সালাত বা নামাজ ঈমানদারের অন্তর ও চেহারাকে উজ্বল করে। এমনিভাবে তা কবর ও হাশরে তার জন্য আলোকবর্তিকা হবে। ধৈর্য্য-সবর হল ঈমানদারের জন্য আলো স্বরূপ। এ আলো সূর্যের আলোর মত।