আসিফুজ্জামান পৃথিল: মিশরের উপকূলবর্তী শহর আলেকজান্দ্রিয়ায় একটি দানবাকৃতির গ্রানাইডের সারকোফেগাস (কফিন) খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রত্নতাত্বিকরা। কয়েক সহস্রাব্দি পুরাতন একটি সমাধিতে এই সারকোফেগাসটি রয়েছে। একটি নির্মানকাজের সময় এই সমাধিটি আবিষ্কার হয়।
প্রায় ২ মিটার উঁচু এই সারকোফেগাসটি লম্বায় প্রায় ৩ মিটার। আলেকজান্দ্রিয়ায় আবিষ্কৃত সারকোফেগাসের মধ্যে এটি বৃহত্তম। এর পাশেই একটি অ্যালবেস্টারের ভাষ্কর্য পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এই ভাষ্কর্যের ব্যক্তির লাশই সারকোফেগাসটিতে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি আদি টলেমিক যুগের। এই যুগ ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকাজান্ডার দি গ্রেটের মৃত্যুর অব্যহতি পরেই শুরু হয়। মিশরের রপুরাকীর্তি মন্ত্রনালয় এর প্রাচীন মিশরিয় দ্রব্য শাখার প্রধান আইমান আসমাউই বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই সমাধীটি সেই সময়ের উচ্চ পর্যায়ের কারো। অ্যালবাস্টার এর মাথাটি দেখে প্রতিভাত হয় এটি আলেকজান্দ্রিয়ার কোন অভিজাত ব্যক্তির। আমরা যখন এটি খুলবো ভেতরের দ্রব্যাদি দেখে আন্দাজ করা যাবে এটি কার এবং তার অবস্থান কি ছিলো।’
তবে এটি খুলার আগে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আসমাউই বলেন, ‘এটাকি সরাসরি খোলা ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এটাকে আস্ত উঠিয়ে জাদুঘরে নিয়ে খোলা একটু কঠিন। এটি মাটির ৫মিটার গভীরে অবস্থিত। এবং পুরো জিনিষটার ওজন ৩০ টন। শুধু ডাকনার ওজনও ১৫ টন।’ সামনের সপ্তাহে একদল প্রকৌশলী সমাধিিট পরিদর্শন করবেন এবং তারা ভারী উত্তোলন সরঞ্জাম বসাবেন। গার্ডিয়ান
আপনার মতামত লিখুন :