শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০১৮, ১০:০৯ দুপুর
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০১৮, ১০:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খণ্ডকালীন শিক্ষকের বেতন ৫০ হলেও পূর্ণকালীনের ‘১০ হাজার’!

ডেস্ক রিপোর্ট : উলিপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেন কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ মতিন। খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করে বছরে তিনি পান ৬ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এক মাসে তার বেতন ৫০ হাজার টাকা।

আগামী ৩০ জুলাই কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৪ জুন নির্বাচন কমিশনে হলফনামা জমা দেন এম এ মতিন। সেই হলফনামায় তিনি মাসে ৫০ হাজার টাকার কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু উলিপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটেরই একজন পূর্ণকালীন শিক্ষক জানান, তার বেতন মাসে ১০ হাজার টাকা।

ওই শিক্ষক জানান, ২০০৪ সালে উলিপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন এম এ মতিন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেন না। এই সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

ব্যবসা/পেশা হিসেবে এম এ মতিন উল্লেখ করেছেন উলিপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাকে। খণ্ডকালীন শিক্ষকতার বাইরে কৃষি ও বাড়ি ভাড়া থেকে তার আয় হয়। এর বাইরেও মতিনের ব্যবসা থেকে বছরে আয় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কিন্তু কোন ব্যবসা থেকে বছরে তার এই পরিমাণ আয় আসে, সেটি উল্লেখ করেননি এই এমপি পদপ্রার্থী।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মূলত কারো হলফনামার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তা যাচাই-বাছাই করা হয়। কেউ যদি অভিযোগ না করেন, তাহলে আমরা কী করে বুঝব হলফনামায় মিথ্যা তথ্য আছে?’

এম এ মতিনের বিষয়টি জানতে চাইলে চাইলে এই কমিশনার বলেন, ‘কেউ যদি নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করেন বা মিথ্যা তথ্য দেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই প্রতিবেদেকের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এই এমপি প্রার্থীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা রিসিভ হয়নি।

২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন এ কে এম মাইদুল ইসলাম। কুড়িগ্রাম-৩ আসন থেকে নির্বাচিত এই সাংসদ গত ১০ মে ঢাকায় মারা যান। তার মৃত্যুতে সৃষ্ট শূন্য পদে আগামী ৩০ জুলাই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তাদের যত সম্পদ

এম এ মতিনের হলফনামা অনুযায়ী, বছরে তার আয় ২০ লাখ ১২ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাত থেকে বছরে আসে ৬ লাখ ৮০ হাজার, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে ৭২ হাজার, ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার, পেশা (শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন, পরামর্শক ইত্যাদি) থেকে ৬ লাখ এবং মেয়ের কাছ থেকে বছরে ৩ লাখ টাকা নেন তিনি।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে মতিনের রয়েছে নগদ ১২ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩৩ লাখ, ৭১ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল, ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৬ ভরি সোনা, ৬ লাখ টাকা মূল্যের ইলেকট্রিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র।

এই এমপি প্রার্থীর স্ত্রীর নামে রয়েছে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা মূল্যের একটি গাড়ি, অর্জিতকালীন সময়ে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা মূল্যের ২১ ভরি সোনা এবং অর্জিতকালীন সময়ে ৫ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী। তার ওপর নির্ভরশীলদের নামে নগদ ৩ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ২ লাখ ৬৬ হাজার, অর্জিতকালীন সময়ে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ১০০ ভরি অলঙ্কার, সাড়ে ৫ লাখ টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে অর্জনকালীন সাড়ে ৩ লাখ টাকা মূল্যের চার বিঘা কৃষি জমি এবং অর্জনকালীন ৬ লাখ টাকা মূল্যের ৪০ শতক অকৃষি জমি রয়েছে মতিনের। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যের ২ বিঘা কৃষি জমি, অর্জনকালীন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ১১ শতক অকৃষি জমি এবং ৮ লাখ টাকা মূল্যের একটি দ্বিতল ভবন রয়েছে।

১ কোটি ৪ লাখ টাকা অর্জনকালীন মূল্যে রাজধানীর ইন্দিরা রোডের ৪৭/এ ফ্ল্যাটটি এম এ মতিনের ওপর নির্ভরশীলের নামে রয়েছে।-প্রিয়.কম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়