লিহান লিমা: ব্রেক্সিট চুক্তি সমঝোতা ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিসের পদত্যাগের পর পার্লামেন্টে ভাষণ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এই সময় নিজের ব্রেক্সিট নীতিতে অটল থাকতে দেখা যায়। তবে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন সহ বিরোধী দলের সদস্যরা তাদের পদত্যাগের দাবি জানান।
হাউস অব কমন্সে নিজের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে থেরেসা মে বলেন, আমাদের গৃহীত ব্রেক্সিট নীতি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করবে এবং ইউরোপের সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জনগণের স্বার্থে ইইউর সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখব। এই ব্রেক্সিটের সঙ্গে ব্রিটিশ জনগণের স্বার্থ জড়িত আছে। যা গণভোটের মাধ্যমে জনগণ রায় দিয়েছে।’ এই সময় তিনি এতদিন ধরে দায়িত্ব পালনের জন্য বরিস ও করবিনকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর ব্রিটিশ লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, ‘দুই দুইজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদত্যাগে এটি পরিস্কার যে, এই সরকার নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ। তিনি ব্রেক্সিট ডিল করতে অক্ষম। যিনি নিজের ক্যাবিনেটকেই ধরে রাখতে পারেন না তিনি কিভাবে ব্রেক্সিট সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন। তার ওপর কোন বিশ্বাস রাখা যায় না। ইইউর সঙ্গে ব্রেক্সিট চুক্তির সমঝোতার চাইতে থেরেসা মের তার মন্ত্রীপরিষদের সঙ্গে সমঝোতায় অধিক সময় ব্যয় করা উচিত।’ এই সময় তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব ব্রিটেনের জনগণ এবং অর্থনীতির স্বার্থকে প্রতিনিধিত্ব করে না। বিবিসি।
আপনার মতামত লিখুন :