মোহাম্মদ কামাল: নবান্ন উৎসবের আমেজ দেখেছি ছোটবেলায়। প্রতিবেশীরা সবাই মিলে একেক দিন একেক জনের ধান কেটে ঘরে তুলে দিত। যেদিন যার ধান ক্ষেত কাটা হতো সেদিন সন্ধ্যায় তার বাড়ীতে মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের আয়োজন হতো। বাড়ীতে বাড়ীতে নতুন খড় আর নতুন ধানের পিঠা পায়েসের গন্ধে কেমন যেন একটা মৌ মৌ গন্ধ ভেসে আসতো। পুরো গ্রাম জুড়ে সবার মাঝে একটা উৎসব উৎসব আমেজ বয়ে বেড়াতো।
কালের বিবর্তনে নবান্ন উৎসব আজ শুধুমাত্র শব্দের মাঝেই সীমাবদ্ধ। নবান্ন উৎসবের আদলে গত ৫/৭ বছর ধরে আমাদের অঞ্চলে নতুন এক উৎসবের প্রচলন শুরু হয়েছে। এই উৎসবের কোন নাম নেই। তাই আমি নাম দিয়েছি লটকোৎসব।
আমাদের এলাকাটা সাধারণত ফল সমৃদ্ধ এলাকা। কাঁঠালটাই ছিল বিখ্যাত। কিন্তু কাঁঠালকে পেছনে ফেলে লটকন বিখ্যাত হয়ে পড়েছে। লটকনের সিজন এলেই সবার মাঝে কেমন যেন একটা আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। প্রধান কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক। সিজন এলেই কয়েকজন মিলে আলাদা আলাদা গ্রুপ করে তাদের সবার বাগান এক করে পাশাপাশি আরোও কিছু বাগান কিনে বাজারজাত করে। সবাই মিলে একসঙ্গে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাগান থেকে লটকন সংগ্রহ করার মাঝে যেমন একটা ফিলিংস কাজ করে ঠিক তেমন ছোট ছোট খাঁচায় পিরামিডের মতন লটকন সাজানোর শৈল্পিক কর্মটাও দৃষ্টিনন্দন। ফেসবুক থেকে
https://www.facebook.com/groups/greenbangladesh07/permalink/439662143106100/
আপনার মতামত লিখুন :