ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা যায় কিনা, সেই সক্ষমতা যাচাই করছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে কমিশন সচিবালয় থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের। নির্বাচন কমিশন বলছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে ইভিএম ব্যবহারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে জাতীয় নির্বাচনে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলছেন, কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে দুর করতে হবে যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে ভোটারদের মনের সন্দেহ।
রংপুর সিটিতে একটি এবং খুলনা সিটি নির্বাচনে দু'টি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ছয়টি কেন্দ্রের মোট ৩৩টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয় যান্ত্রিক এই পদ্ধতিতে। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে পর্যায়ক্রমেই বাড়ছে ইভিএম ব্যবহারের পরিধি। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহারের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, 'পরবর্তীতে তিনটা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই গুলোতে ইভিএম ব্যবহারের সুযোগ রাখবো। এছাড়াও যেকোন পরিসরে হয়তো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি আমরা নিবো।'
কমিশন সচিবালয়ের প্রথম শ্রেণির ৭৮জনসহ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সকল কর্মকর্তাকে এরইমধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে ইভিএম বিষয়ক প্রশিক্ষণের আওতায়। চলছে মাঠ-পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সক্ষম জনবলের প্রয়োজন রয়েছে। সূত্র: সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :