খালেকুজ্জামান : আমরা বলেছিলাম যে, এ বাজেট একধরণের গতানুগতিকতা এবং জবাবদিহিতাহীন, যা এ দুটিকে অতিক্রম করতে পারে নাই। এর কারণ এ বাজেট তৈরি হয় আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়। এবং এই বাজেট বাস্তবায়নে কোনো রকমের জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা থাকে না। পূর্বের ন্যায় এবারো তার কোনো ব্যতিক্রম হবে না। প্রত্যেকটি বাজেটে উন্নয়নের নামে দূর্ণিতি হয় এবং ধোনি দরিদ্রের বৈশম্য বাড়ে। এর ফলে এবারের বাজেটে এর ব্যতিক্রম কিছু হবে না।
বাজেট বাস্তবায়নে জবাব দিহিতা এবং স্বচ্ছতা যত কম থাকবে, দুর্নীতির মত্রা ততই বাড়তে থাকবে। মুষ্টিমেয় কিছু দরিদ্রের সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে সমাজের দুর্নীতিবাজরা ফুলে ফেঁপে উঠার একটা আশঙ্কা থাকবে। যার ফলে সাধারণ শ্রমজীবিদের উপর অর্থনৈতিক একটা চাপ বেড়ে যাবে। আর এভাবে ধনী দরিদ্রের বৈষম্যও বাড়তে থাকবে। তাই এই বাজেটের মধ্য দিয়ে ধনি-দরিদ্রের বৈষম্য ও দুর্নীতির হ্রাস হবে না এবং বাজেট যথোপযুক্ত কোনো ভুমিকা রাখবে না।
পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, বাসদ/ মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :