শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০১৮, ০৯:৩৬ সকাল
আপডেট : ২৯ জুন, ২০১৮, ০৯:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসলামের আলোকে বিপদ আপদে করণীয়

আমিন মুনশি: মানুষকে পরীক্ষা করার বিষয়ে কুরআনে পাকে উল্লেখ রয়েছে, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং কিছু ধন-সম্পদ ও ফলের ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করব। আর আপনি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন। যখন তাদের উপর কোনো বিপদ-আপদ আসে; তখন তারা বলে, নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চিতভাবে তার দিকেই ফিরে যাব।' (সুরা বাকারা: ১৫৫-১৫৬)

কখনো কখনো মানুষের ওপর বালা-মুসিবত ও বিপদ-আপদ তাদের পাপ বা অন্যায়ের কারণে এসে থাকে। এটা এ জন্য আসে যে, তারা যেন ভবিষ্যতে পাপ বা অন্যায় করা থেকে সতর্ক হয়ে যায়। সুতরাং বান্দার উপর বিপদ-আপদ এক ধরনের রহমত।
আবার কখনো কখনো মানুষের ঈমানি পরীক্ষাস্বরূপ বালা-মুসিবত এসে থাকে। এতে ধৈর্যধারণে তাদের মর্যাদা বেড়ে যায়। এটাও আল্লাহ তাআলার রহমত।

তবে যখনই কোনো মানুষের বিপদ-আপদ আসবে তখনই মনে করতে হবে তা নিজের অন্যায়, ভুল বা পাপের কারণেই এসে থাকে। আর এ বিপদ-আপদের পরিপ্রেক্ষিতে বান্দাকে হতে হবে আল্লাহর প্রতি বিনয়ী। চাইতে হবে ক্ষমা দয়াময় প্রভুর কাছে।

বিপদ-আপদের সময় করণীয়:

বিপদ-আপদে বিচলিত না হয়ে এটাকে আল্লাহর রহমত মনে করা।

এ বিপদ-মুসিবত নিজের পাপ ও অন্যায়ের কারণে ঘটেছে মনে করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা ও বিনয়ী হওয়া।

বিপদের সময় ধৈর্য্য অবলম্বন করা। হা-হুতাশ করা থেকে বিরত থাকা।

যে কোনো বিপদ-মুসিবতে সালাতুল হাজত' দুই রাকাত নামাজ আদায় করে নেয়া। নামাজ পড়ে বিপদ আপদ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করা প্রিয়নবি (সা.)-এর সুন্নাত।

বিপদ-মুসিবতে বা কোনো জটিল সমস্যা দেখা দিলে বেশি বেশি আল্লাহর স্মরণ করা। কোনোভাবেই ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর জিকির থেকে গাফেল না হওয়া।

বিপদ ও মুসিবত যত ছোটই হোক বা যত বড়ই হোক সব সময় এই দোয়া পড়া। মুসলিম শরিফে আছে- শরীরে যদি একটি কাঁটাও বিঁধে তাহলেও এ দোয়া...

উচ্চারণ: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন; আল্লাহুম্মা আযিরনি ফি মুসিবাতি ওয়াখলুফলি খাইরাম মিনহা।

উল্লেখ্য যে, মানুষের কোন কিছু হারিয়ে গেলে ৪১ বার ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন' পড়া অত্যন্ত ফলদায়ক ও পরীক্ষিত আমল।

তাই দুনিয়ার সব ধরনের বিপদ-আপদ, বালা-মুসিবতে ধৈর্যের মাধ্যমে আল্লাহর জিকির-আজকার ও তার সাহায্য কামনা করা উচিত। প্রিয়নবি (সা.)-এর শিখানো দোয়া পড়াও জরুরি।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে উল্লেখিত নিয়মগুলো পালনের মাধ্যমে তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়