ডেস্ক রিপোর্ট : সিভি জমা দেয়া, বাছাই, প্রিলিমিনারি এবং লিখিত পরীক্ষা এসব ধাপ উত্তীর্ন হয়েছেন। এবার ভাইভা বা মৌখিক পরীক্ষার পালা। এখানেই নিজেকে খুব নার্ভাস মনে হয়। বেড়ে যায় হার্টবিট। আরও কত সমস্যা এসে ধরা দেয়! তাই না? না, এসবের কিছু থাকবে না, জাস্ট খেয়াল রাখুন-
১. ভাইভা বোর্ডে কি পড়ে যাচ্ছেন সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফর্মাল ড্রেস পড়ুন। শার্টের সাথে মানানসই করে প্যান্ট পড়ুন। যদি টাই পড়তে চান তবে সেটা শার্ট ও প্যান্টের সঙ্গে অবশ্যই মানানসই হতে হবে।
২. নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা বা আধা ঘণ্টা আগে ভাইভা বোর্ডে পৌঁছান কারণ এটা আপনাকে মানসিকভাবে অনেকটা সুস্থ রাখবে। দেরি করে যদি ভাইভা বোর্ড পৌঁছান তবে চাকরিদাতার মনে আপনার সম্পর্কে বাজে ধারণার সৃষ্টি হবে।
৩. যে প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে যান। যে পদে ইন্টারভিউ দিতে দিচ্ছেন পারলে সে পদের কাজ সম্পর্কেও জেনে নিন। এতে আপনি যে কাজের প্রতি আগ্রহী সে বিষয়ে চাকরি দাতার একটা ভালো ধারণা তৈরি হবে।
৪. ইন্টারভিউ সময়ে যে আলোচনা হয় পারলে সে আলোচনায়ও অংশ নেন। ভাইভা বোর্ডে ঝিম মেরে বসে থাকবেন না। কারণ এতে করে চাকরি দাতার মনে আপনি যে যোগাযোগ ও আলোচনায় আগ্রহী এবং এ বিষয়ে সাহসী সে রকম একটা মানসিকতা তৈরি হবে।
৫. ভাইভা বোর্ডে বায়োডাটার একটি অতিরিক্ত কপি নিয়ে যাবেন। কারণ আপনাকে চাকরি দিতে চাইলে তারা আপনার কাছে বায়োডাটার একটি অতিরিক্ত কপি চাইতে পারে।
৬. বোর্ড নিজের ভালো কাজের উদাহরণ দিন। তবে এ বিষয়ে অতিরঞ্জিত কিছু না বলাই শ্রেয়।
৭. আপনি যে সব কিছু জানবেন বিষয়টি তেমন নয়। কোনো প্রশ্ন না জানলে বিনীতভাবে জানান যে আপনি সেটা জানেন না। অনেকে বোর্ডে অতিরিক্ত বিনীত দেখান যেটা মোটেও ঠিক নয়। কারণ ভাইভা বোর্ড যত আপনার কাছে সাধারণ মনে হবে আপনি তত এগিয়ে থাকবেন।
সূত্র : পরিবর্তন
আপনার মতামত লিখুন :