শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ জুন, ২০১৮, ০৮:০৪ সকাল
আপডেট : ২৯ জুন, ২০১৮, ০৮:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সহানুভূতি চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট : মন্ত্রীদের ঘুষ খাওয়া নিয়ে বক্তব্য ইস্যুতে সংসদ সদস্যদের সহানুভূতি চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমার বক্তব্যটি গণমাধ্যমে বিকৃত করে প্রচার করা হয়েছিল। আমি ব্যাখ্যা দিলেও সেটা প্রচার করা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচার নিয়ে সংসদেও আমার সহকর্মীরাও কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। বিষয়টির জন্য আমি বার বার বিব্রত হই। আমাকে এভাবে বার বার বিব্রত করবেন না। আপনারা আমার প্রতি সুবিচার করুন। আমি আপনাদের কাছে সহানুভূতি চাই।’

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যের বক্তব্যের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র মিলে ৯ জন সদস্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে বরাদ্দের বিরোধীতা করে ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। তারা হলেন ফখরুল ইমাম, নূরুল ইসলাম ওমর, সেলিম উদ্দিন, মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী, রুস্তম আলী ফরাজী, রওশন আরা মান্নান, নুরুল ইসলাম মিলন, পীর ফজলুর রহমান।

ফখরুল ইমাম বরাদ্দের বিরোধীতা করে বলেন, ‘শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার। কিন্তু এ মন্ত্রণালয়ে জিপিএ-৫ কেনাবেচার ঘটনা ঘটে। এগুলো খারাপ কাজ। এসব বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। যতক্ষণ এটা ঠিক না করবে ততক্ষণ টাকা ছাড় করা ঠিক হবে না।’

রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির জন্য রাস্তায় বসে অনশন করছেন। তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। তবে এসব সমস্যার সমাধান না করে বরাদ্দ বাড়িয়ে কী হবে।’

পীর ফজলুর রহমান তার বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রীর ‘সহনশীল পর্যায়ের ঘুষ খাওয়া’ বিষয়ক বক্তব্যটি তুলে ধরেন। পরে শিক্ষামন্ত্রী তাদের বক্তব্যের জবাব দেন।

জিপিএ-৫ বিক্রি সংক্রান্ত অভিযোগের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জিপিএ-৫ টাকায় বিক্রি হয়- এধরনের একটা খবর একটা টিভিতে প্রচার করা হয়েছে। তবে এটা প্রমাণিত হয়নি যে কেউ একজন জিপিএ-২ পেয়েছিল তাকে টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ দেওয়া হয়েছে। এরকম কোনও প্রমাণ ওই খবরে নেই। তারপরেও আমরা বোর্ড থেকে বুয়েটের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি। এছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি কমিটি করেছি। যখনই এসব অভিযোগ আসে আমরা গোপন রাখি না। প্রকাশ করি। টাকার বিনিময়ে জিপিএ-৫ পাইয়ে দিছে এমন একটা নাম কি তারা দিতে পারবে? একটা প্রমাণ কি দিতে পারবে? তবে আমি অভিযোগ অস্বীকার করছি না। রিপোর্ট আসলে বলতে পারবো। তবে সরাসরি অভিযোগ করলে খুবই অবিচার হবে।’

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের জবাব মন্ত্রী বলেন, ‘এইবার এসএসসি’র প্রশ্নফাঁস নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। এমনকি মিডিয়াতেও ব্যাপক প্রচার করা হয়েছে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট ৫টি মন্ত্রণালয় এবং সব নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে কমিটি করেছিলাম। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে, মাত্র কয়েকটি প্রশ্ন আংশিক, তাও পরীক্ষা শুরু ৩০ মিনিট পর আউট হয়েছে। তাও সেটা ৩০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন। সেটাও আবার ‘ক’ সেট। আমরা গোপন রাখি নাই, তদন্ত করে প্রকাশ করেছি।’

বিভিন্ন দেশের প্রশ্নফাঁসের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভারতের দিল্লিতে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং স্টেটভিত্তিক কিছু পরীক্ষা হয়। এবার স্টেটের কিছু পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। সিঙ্গাপুরেও প্রশ্নফাঁস হয়েছে। ইংল্যান্ডেও প্রশ্ন আউট হয়েছে। আজ ইন্টারনেটের যুগে এগুলো সব জায়গাতেই হচ্ছে।’

ঘুষ খাওয়া নিয়ে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে নিয়ে একটা পত্রিকায় মিথ্যা একটা কথা প্রচার করা হয়। আমি নাকি বলেছি দুর্নীতি সহনীয় পর্যায়ে করার জন্য। আমি উদাহরণ দিয়ে বলেছিলাম। দুর্নীতির জন্য ডিআইএ (পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর) একটা আখড়া ছিল। আমরা সেটাকে ভেঙে নতুন ফরমেটে শুরু করেছি। সেদিন অতীতের উদাহরণ দিয়ে বলেছিলাম আমরা অভিযোগ পেয়েছি এখানে বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ দিতে হতো, উপর লেভেল পর্যন্তও নাকি দিতে হতো। তখন আমি উপর লেবেল বলতে আমাকে মিন করেছিলাম। উপর লেভেল হলে তো আমি মন্ত্রীই। আমি নাকি সব মন্ত্রীকে বলেছি। একথা মোটেই সঠিক না। এই বিষয়টা মোটেই সঠিক না। এটা নিয়ে বার বার নির্যাতন করা হয়। আমাকে বিব্রত করা হয়। আপনারা সংসদ সদস্যরাও এই পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে অনেক সমালোচনা করেন। দয়া করে আপনারা সত্য, ন্যায় বিচার করুন। আপনাদের কাছে সহানুভুতি চাই। আমাকে এইভাবে বিব্রত করবেন না।’
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়