শিমুল মাহমুদ : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব এসেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে, শুধু রোহিঙ্গারাই শরণার্থী নয়, গোটা বাংলাদেশের মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিবের উচিত হবে গোটা বাংলাদেশটাকে দেখা। কি কারণে বাংলাদেশের মানুষ আজকে শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। এর একটাই মাত্র কারণ আওয়ামী লীগ তার গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সমাবেশে তিনি একথা বলেন। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু মুক্তি পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে যেই সংকট তৈরি হয়েছে এটা শুধু বিএনপির নয়, এই মহাসংকট হচ্ছে পুরো জাতির। কারণ এই জাতির যা কিছু অর্জন আমাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আজকে দেশ স্বৈরাচারী একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আমাদের ৫শ' অধিক নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। ১৮ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। আজকে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা কেউ বাসায় থাকতে পারছে না। বেশির ভাগ নেতা-কর্মী এখানে, ওখানে থেকে শরণার্থী হয়েগেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি, যদি আমরা জাতীয় ঐক্যে সফল হই, তবে আওয়ামী লীগ সরকার তিনদিনের বেশি টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আইনের মাধ্যমে খলেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয়।কারণ তার এখানে আইনি কোন সমস্যা নেই। সমস্যা রাজনৈতিক। তাই একমাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি করতে হবে। রাজনৈতিক ভাবে তাকে আটকে রাখা হয়েছে, আর রাজনৈতিক ভাবে তাকে মুক্ত করতে হবে।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, আপনাদেরকে রাজপথে নেমে আসতে হবে এবং জমায়েত বাড়াতে হবে। হাজার, হাজার, লাখে নেমে আসতে হবে তা না হলে সফল হবেন না। সেজন্য জনগণের কাছে যেতে হবে। সুসংগঠিত করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সহ-সাংগঠনি সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :