সান্দ্রা নন্দিনী: মুখ দেখা যাবে না এমন কোন পোশাক পরিধান নিষিদ্ধে আইন পাস করেছে নেদারল্যান্ডস পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ। মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও সরকারি অফিস-আদালতের মত স্থানে বোরকা-নেকাবসহ অন্যান্য মুখম-ল ঢেকে রাখা বস্ত্র পরিধান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে দেশটি।
নেদারল্যান্ডস ছাড়া আরও কয়েকটি দেশে বোরকা-নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে ফ্রান্সের নাম। কেননা, এটিই প্রকাশ্যে নারীদের বোরকা-নেকাব পরে বের হওয়ার বিরুদ্ধে আইন পাসকারী ইউরোপের প্রথম কোনও দেশ। ২০১১ সালে প্রকাশ্যস্থানে নারীদের মুখম-ল ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ করে ফ্রান্স। ফ্রান্সের বোরকা-নেকাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের ঘোষণায় অনেকটা প্রভাবিত হয়ে ২০১১ সালেই এসংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা দেয় বেলজিয়াম সরকার। দেশটির রাস্তা-ঘাট কিংবা পার্কে অবস্থানকারী নারীদের পরিচয় নির্ণয়ে অসুবিধা হয় এমন পোশাক পরিধান সম্পূর্ণ অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
২০১৬ সালে ইউরোপজুড়ে জঙ্গিহামলা আশংকাজনকহারে বেড়ে যাওয়ায় বোরকা নিষিদ্ধ করে বুলগেরিয়া পার্লামেন্ট। ১৯৭৫ সাল থেকেই ইতালিতে প্রকাশ্যে হেলমেট অথবা অন্য যেকোন কিছু দিয়ে মুখম-ল ঢেকে রাখা বস্ত্রপরিধান নিষিদ্ধে আইন বলবৎ রয়েছে। তবে, ২০১৫ সালে দেশটিতে অফিস-আদালত ও হাসপাতালে বোরকা-নেকাব নিষিদ্ধ করা হয়।
নাইজেরিয়ার ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের হামলায় ২০জন নিহতের ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে প্রকাশ্যে বোরকা-নেকাব নিষিদ্ধে আইন পাস করে উত্তর আফ্রিকার দেশ রিপাবলিক অব চাদ। ২০১১ সালে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য আয়োজিত শপথ অনুষ্ঠানে মুসলিম নারীদের বোরকা পরা অবৈধ করে কানাডা। এছাড়া, ২০১৪ সালে প্রকাশ্যে নারীদের বোরকা-নেকাব সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে চীন। ইয়ন নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :