হ্যাপী আক্তার : বর্ষা মৌসুমে কালবৈশার্খী ঝড়ের সঙ্গে বাড়ছে বজ্রপাতে হতাহতের সংখ্যা। ২০১৭ সালে দেশে বজ্রপাতে যেখানে মারা গেছেন ২৬২ জন, সেখানে চলতি বছরের মে- মাসেই ১১১ জন নিহত হয়েছেন। জুন-জুলাই মাসেও বজ্রপাতের শঙ্কা করছেন গবেষক।
বৈরী আবহাওয়ার কারনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে প্রকৃতি। আকাশে কালো মেঘ। এরপর ঝড় আর ঝুম বৃষ্টি। সঙ্গে থেমে থেমে বজ্রপাত। চলতি বছর দেশে এ পর্যন্ত বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা দেড় শতাধিকের মতো। বজ্রপাতে নিহতের ঘটনা বেশিরভাগই ঘটেছে গ্রামীণ জনপদ ও উন্মুক্ত স্থানে।
বজ্রপাত বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মুরাদ আহমেদ ফারুখ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ বছরে দেশে বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৮ শর বেশি। মৃত্যুর হার বেশি মে মাসে।
অধ্যাপক মুরাদ আহমেদ ফারুখ বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে তাপমাত্রা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে । তাপমাত্রা বাড়লে বজ্রপাতের সংখ্যাও বেড়ে যায়। তবে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না বজ্রপাত বাড়তেই পাড়ে।
তিনি আরো বলেন, উঁচু ভবনে বজ্রনিরোধক দন্ড ব্যবহার এবং আবাদি জমিতে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর শেল্টার হোম নির্মাণ করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে, তাল ও সুপারি গাছ লাগানো হলে বজ্রপাত থেকে মানুষ কিছুটা বাঁচতে পারে।
এই গবেষক আরও জানান, প্রতিটি বজ্রপাতের বিদ্যুৎ ক্ষমতা সাড়ে ৪শ কিলোভোল্ট এবং গড় তাপমাত্রা ২৮ হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াস। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :